অথচ শেষ তিন ওভারে পঞ্জাব তুলল ১৯ রান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোরের চেয়ে ২ রান আগে আটকে গেল তারা। প্রায় হারতে বসা ম্য়াচ নাটকীয়ভাবে জিতে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন পঞ্জাবের প্রধান ভরসা রাহুলও। ৫৮ বলে ৭৪ রান করে।
শেষ তিন ওভারের স্ট্র্যাটেজি কী ছিল? ম্যাচের পর এবিপি আনন্দের প্রশ্নে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বললেন, ‘আমরা কেএলকে সিঙ্গল রান দিয়ে ক্রিজের অন্য প্রান্তে পাঠাতে চেয়েছিলাম। যাতে ও বেশি বল খেলার সুযোগ না পায়। সেই পরিকল্পনামাফিক দারুণ বল করেছে সানি (সুনীল নারাইন) ও প্রসিদ্ধ (কৃষ্ণ)।’
আমরা কেএলকে সিঙ্গল রান দিয়ে ক্রিজের অন্য প্রান্তে পাঠাতে চেয়েছিলাম। যাতে ও বেশি বল খেলার সুযোগ না পায়। সেই পরিকল্পনামাফিক দারুণ বল করেছে সানি (সুনীল নারাইন) ও প্রসিদ্ধ (কৃষ্ণ)।- দীনেশ কার্তিক
যে সময়ের কথা কার্তিক উল্লেখ করেছেন, তাতে রাহুল মাত্র ৪টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আর তাতে তিনি ৪ রান করেন। নাইট শিবির মনে করছে, তাতেই বাজিমাত হয়েছে ম্যাচে। কার্তিক যোগ করেছেন, ‘ওরা দারুণ রান তাড়া করেছে। তবে খুব বেশি সুযোগ দেয়নি। খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিল। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। সানি ও প্রসিদ্ধকে কৃতিত্ব দেব। খুব ক্লোজ ম্যাচ। দারুণ উত্তেজক লড়াই হয়েছে।’
আইপিএলে কেকেআর-পঞ্জাব লড়াইকে বরাবর বীর-জারার দ্বৈরথ হিসাবে দেখা হয়। কারণ, এক দলের মালিক শাহরুখ খান। অন্য় দলের মালকিন প্রীতি জিন্টা। পর্দার বীর-জারা। শনিবার শাহরুখ মাঠেই ছিলেন। প্রীতি আইপিএলের শুরুর দিকে মাঠে থাকছিলেন। তবে মাঝে ব্যক্তিগত কাজে লস অ্যাঞ্জেলসে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ফের সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছে গিয়েছেন। তবে কোয়ারেন্টিন পর্ব চলায় মাঠে থাকতে পারেননি। বীরের দলের সঙ্গে ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে ভাগ্যও যেন মুখ ঘুরিয়ে থাকল প্রীতির দিক থেকে। বাজিগরের দলের কাছে হারের ধাক্কা হজম করতে হল বলিউডের এক সময়কার হার্টথ্রবকে।