নয়া দিল্লি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভালই শুরু করেছিল ভারত। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুভমন গিল। লক্ষ্য ছিল- ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা। শুরুটা ভালই হয়েছিল। যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন। কেএল রাহুলের সঙ্গে ওপেনে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হয়। কিন্তু জোমেল ওয়ারিকানের দুরন্ত বলেই ব্রেক হয় পার্টনারশিপ।
বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের সামনে ক্রিজ়ে ছেড়ে বেরিয়ে স্টাম্প আউট হন কেএল রাহুল। বল পিচে পড়ে অনেকটা স্পিন হওয়াতে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি রাহুল। বলে চলে যায় উইকেট কিপারের হাতে, দেরি করেননি তিনি। ৩৮ রানে স্টাম্প আউট হন রাহুল তিনি। ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
তবে ক্রিকেট মহলে সমাদৃত হয়েছে ওয়ারিকানের এই বলটি। পিচে পড়ে ৮ ডিগ্রিরও বেশি ঘুরে ব্যাটারের কাছে পৌঁছয় বলটি। তাবড় তাবড় ব্যাটাররাও এই বল বুঝতে পারতেন না বলেই মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ ওয়ারিকানের ওই ওভারের আগের দুটি বল যথাক্রমে ২.৭ ডিগ্রি এবং ০.৮ ডিগ্রিতে স্পিন হয়। কিন্তু তৃতীয় বলটি ৮.৪ ডিগ্রিতে ঘুরতেই কার্যত গুগলি খেয়ে যান ব্যাটার রাহুল। স্টেপ আউট করতেই বল ঘুরে চলে যায় উইকেট কিপারের হাতে। ওয়ারিকানের এই বলটিকে এই 'সিরিজের সেরা বল' মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ম্যাচের ধারাভাষ্যকারদের মতেও তাই।
তবে টেস্টের জন্য প্রস্তুত পিচের ধরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে যদি প্রথম দিনে একটি ডেলিভারি এত বেশি টার্ন নেয়, তাহলে ম্যাচের বাকি দিনগুলিতে স্পিনাররা তাণ্ডব চালাতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
শুধু কে এল রাহুলকেই নয়। যশস্বীর সঙ্গে যখন দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন সাই সুদর্শন। সেই সময়ই ছন্দপতন। ফের ম্যাচের মোড় ঘোরালেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার ওয়ারিকান। এলবিডাব্লু করলেন সাই সুর্দশনকে। সেঞ্চুরির কাছেও এসেও প্যাভেলিয়নে ফিরতে হল ভারতীয় ব্যাটারকে। ১৬৪ বলে ৮৭ করে আউট হন সুদর্শন।
প্রসঙ্গত এই বছরই ফেব্রুয়ারিতে ঘূর্ণি জাদুতে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে আইসিসির মাসের সেরা হয়েছিলেন ওয়ারিকান। সেরার লড়াইয়ে ওয়ারিকান হারিয়েছিলেন ভারতের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও পাকিস্তানের নোমান আলিকে।