নয়া দিল্লি: আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে জঙ্গি সংগঠন, এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। আফগান তালিবানদের স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাক মন্ত্রীর কথায় এ ধরনের কাজে  ইসলামাবাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। 

Continues below advertisement

জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে আসিফ বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে', তিনি সতর্ক করে বলেন যে পাকিস্তান আর আফগান মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ সহ্য করবে না। 

ওরাকজাই জেলায় নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সংঘর্ষে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং এ মেজর সহ ১১ জন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হওয়ার পর অশান্তির পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই সতর্কতা জারি করা হল।                                                        

Continues below advertisement

আসিফ আইনপ্রণেতাদের বলেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের সহায়তাকারীরা "যেখানেই থাকুক না কেন" তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে কাবুল যদি সীমান্তে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে ইসলামাবাদ আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।

পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, খাজা আসিফ বলেন, আমাদের ধৈর্যের সীমা আছে। যারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় বা সহায়তা করে - তা সে পাকিস্তানে হোক বা আফগানিস্তানে - তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে"। 

আসিফ বলেন, সরকার এখন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেবে। তিনি আফগান কর্তৃপক্ষের কাছে একটি কড়া বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে কাবুলে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব করেন, যেখানে পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।  

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান।  কাবুলে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, এমনই দাবি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই বিস্ফোরণ পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের কারণে হয়েছে।  

শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আফগান বিদেশমন্ত্রীর। আফগান তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরের সময়েই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।