প্রথম নন মহম্মদ শামি, আগেও ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে উঠেছে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ
শেন ওয়ার্ন- বিশ্বের অন্যতম সর্বকালের সেরা বোলার। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণই রঙিন এই ক্রিকেটার। বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই অজি-র বিরুদ্ধে। একবার হোটেলের ঘরে দুটি মহিলার সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশিত হয়। ফলত, দশ বছরের বৈবাহিক জীবনে ইতি টানেন স্ত্রী সিমোন। তাতেও বদলাননি ওয়ার্নি। ব্রিটিশ অভিনেত্রী এলিজাবেথ হারলির সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর। যদিও, তা বাস্তব রূপ পায়নি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বামীর বিরুদ্ধে মহম্মদ শামির স্ত্রীর আনা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ঘিরে ক্রিকেটমহল তোলপাড়। তবে, তিনিই প্রথম ক্রিকেটার নন, যাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠল। এর আগে, একাধিক দিকপাল ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে উঠেছে একই অভিযোগ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন ক্রিকেটার এই তিরে বিদ্ধ হয়েছিলেন...
মাইক গ্যাটিং- ১৯৮০ সালে ইলেনকে বিয়ে করেন গ্যাটিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, সুই শিপম্যান নামে এক বারগার্লের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ক্রিকেটার। পরবর্তীকালে, তাঁদের দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
ইয়ান বথাম- ১৯৭৬ সালে ক্যাথরিন ওয়ালারকে বিয়ে করেন বথাম। তাঁদের একটি পুত্র ও ২ কন্যাসন্তান হয়। কিন্তু, এরপর এক অস্ট্রেলীয় ওয়েট্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বথাম। পরে, জনসমক্ষে সেই কথা স্বীকার করে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
আসাদ রউফ- ক্রিকেট মাঠে তিনি বহু ক্রিকেটারকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরিয়েছেন। কিন্তু, এই আম্পায়ারের নামের পাশে লেগেছে অবৈধ সম্পর্কের কালো দাগ। ২০১২ সালে লীনা কপূর নামে এক মহিলার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অসন্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। মহিলার অভিযোগ, তিনি জানতেন না, রউফ ক্রিকেট আম্পায়ার। তাঁর দাবি, রউফ তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ছবির কথা স্বীকার করলেও, দুই সন্তানের বাবা রউফ জানান, তিনি কোনওদিনই লীনাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেননি। অবৈধ সম্পর্কের পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায়, রউফকে এলিট প্যানেল থেকে বাদ দেয় আইসিসি। পরে, অবসর নেন রউফ।
আন্দ্রে নেল- শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসারের সঙ্গে ইয়েলেনা কুলতিয়াসোভা নামে লাতভিয়ার এক মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, ওই মহিলার কাছে নিজের বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন নেল। ফলে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
শাহিদ আফ্রিদি- একটা সময়ে তাঁর সবচেয়ে বেশি মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা ছিল। একবার, করাচির একটি হোটেলের ঘরে আরও ২ পাক ক্রিকেটার হাসান রাজা ও আতিক-উজ-জামানকে একাধিক মহিলার সঙ্গে ধরা পড়েন আফ্রিদি। সেই সময় তিনি বিবাহিত ছিলেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -