অ্যাডিলেড:  বিরাট কোহলির দুরন্ত শতরান ও ফিনিশারর ধোনির অনবদ্য ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল ভারত। ২৯৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে চার বল বাকি থাকতেই পৌঁছে যায় ভারত। সমালোচকদের জবাব দিয়ে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিলেন ধোনি। বেশ কিছুদিন পরে ধোনিকে ফিনিসারের ভূমিকায় দেখা গেল। ৫৪ বলে ৫৫ রান করলেন তিনি। মেরেছেন মাত্র দুটি ওভার বাউন্ডারি। তারমধ্যে একটি এল শেষ ওভারের প্রথম বলে। ওই ওভারে জয়ের জন্য সাত রান দরকার ছিল ভারতের। প্রথম বলে ওভারবাউন্ডারি ও দ্বিতীয় হলে একরান নিয়ে ম্যাচ ফিনিস করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন দীনেশ কার্তিক। ১৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যোগ হল ৫৭ রান।


রান তাড়ার কাজটা দারুণভাবে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধবন ও রোহিত শর্মা। ধবনকে বেশ ছন্দে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ২৮ বলে ৩২ রান করে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে আউট হলেন তিনি।বেবরেনড্রফের শিকার হন তিনি। ৪৭ রানে ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে। এরপর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মুখে আউট হন রোহিত শর্মাও। ততক্ষণে অবশ্য দলের রান ১০০ পেরিয়ে যায়। স্টোয়নিসের বলে ৫২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন রোহিত। তাঁর ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুটি ছয়। দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত ও বিরাট কোহলির জুটিতে ৫৩ রান যোগ হয়। চার নম্বরে অম্বাতি রায়ডুকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। তিনি ৩৬ বলে ২৪ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে আউট হয়ে যান। ১৬০ রানে ভারতের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। এরপর ব্যাট করতে নামেন ধোনি। এদিনের ম্যাচে ব্যাট হাতে ফের স্বমহিমায় কোহলি। শতরান করলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। একদিনের কেরিয়ারের ৩৯-তম শতরান করলেন কোহলি। চোখধাঁধানো ব্যাটিংয়ের জোরে এল শতরান। ১১২ বলে ১০৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভারবাউন্ডারিতে। ধোনির সঙ্গে কোহলির জুটিতে ৮২ রান যোগ হয়। ২৪২ রানে ভারতের চতুর্থ উইকেট পড়ে। এরপর বাকি কাজটা শেষ করেন ধোনি ও কার্তিক।

এর আগে শন মার্শের অনবদ্য শতরানের দৌলতে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ভারতের সামনে ২৯৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার, টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ২৬ রানে দুই ওপেনার ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন শন মার্শ। যখন আউট হন, তখন দলের স্কোর ২৮৩। ১২৩ বলে করা ১৩১ রানের ঝকঝকে ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায়। শেষদিকে স্বভাবোচিত ঢঙে খেলে ৩৭ বলে ৪৮ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ভূবনেশ্বর কুমার। ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। ৫৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ শামিও। জাডেজা নেন একটি। ভারতীয় দলে এদিন একটি পরিবর্তন হয়। খলিল আহমেদের জায়গায় দলে অভিষেক ঘটে মহম্মদ সিরাজের।