নয়াদিল্লি: ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ তোলায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ।


এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের মতে, ইংল্যান্ডের উচিত হারকে স্বীকার করে নেওয়া। এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যে দল হারে, তারা হামেশা কোনও না কোনও অজুহাত খাড়া করে।


সদ্যসমাপ্ত বিশাখাপত্তনম টেস্টে কোহলির-নেতৃত্বাধীন ভারতের কাছে ২৪৬ রানে পর্যুদস্ত হয় ইংল্যান্ড দল। এরপরই ব্রিটিশ সংবাদপত্রে অভিযোগ করা হয় যে, বল বিকৃতি ঘটিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক।


মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, রাজকোটে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ‘বল বিকৃতি’ ঘটিয়েছিলেন বিরাট। এই প্রসঙ্গে একটি প্রকাশিত ভিডিও দেখিয়ে তারা জানায়, মুখে মিন্ট রাখা অবস্থায় থুথু দিয়ে বল ঘষছেন তিনি।


ভিডিওটি ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টেসর হওয়ায়, তারা সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি ব্লক করে দেয়। কিন্তু, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে তোলপাড় শুরু করে দেয়।


এই প্রসঙ্গে সহবাগ বলেন, ইংল্যান্ড দল এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেনি, অথচ সেদেশের সংবাদমাধ্যমের মাথাব্যথার অন্ত নেই। তিনি যোগ করেন, আমার মনে হয় সকলের উচিত হারকে স্বীকার করে নেওয়া। আমরা কখনও হারের পর অজুহাত খাড়া করিনি। আমারা স্বীকার করে নিই, যে ভাল খেলিনি তাই হেরেছি।


গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার অস্থায়ী টেস্ট অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসিকে ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। ফাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হোবার্ট টেস্টের সময় মুখে লজেন্স থাকা অবস্থায় তিনি থুথু দিয়ে বল ‘শাইন’ করছিলেন।


প্রসঙ্গত, ফাফের মত বিরাটও আইসিসি-র কোপে পড়তে পারতেন কোহলিও। কিন্তু, নিয়মানুসারে, এমন ঘটনার প্রমাণ ম্যাচের পাঁচদিনের মধ্যে পেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে, সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় শাস্তি বা জরিমানা হচ্ছে না তাঁর।


যদিও, সহবাগ কিন্তু বিরাট বা ফাফের কোনও দোষ দেখছেন না। তাঁর মতে, ফাফের উচিত নয়, জরিমানা নিয়ে ভাবা। কারণ ও কোনও দোষ করেনি। ক্রিকেটাররা মুখে টফি, লজেন্স রাখতেই পারেন। ঠিক একইভাবে, থুথু দিয়ে বল শাইনও করতে পারেন।