কলকাতা: কোচ নির্বাচনে মতামত দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে বিরাট কোহলির। বলছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি)-র সদস্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।


আগেরবার সৌরভ-সচিন তেন্ডুলকর-ভিভিএস লক্ষ্মণের কমিটির কোচ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ক্রিকেটমহলে ধুন্ধুমার বেধে গিয়েছিল। শোনা যায়, তখন রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসাবে দায়িত্বে রাখতে না চেয়েই সওয়াল করেছিলেন সৌরভ। এমনকী, সৌরভ বনাম শাস্ত্রী সরাসরি বাগযুদ্ধও বেধে গিয়েছিল। সেবারও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বিরাট নিজে কোচ হিসাবে শাস্ত্রীকেই চান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রওনা হওয়ার আগে এবারও কোহলি জানিয়েছেন যে, কোচ হিসাবে শাস্ত্রীরই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা উচিত। সৌরভ বুধবার কোহলির মতামত প্রকাশ নিয়ে বলেছেন, 'ও দলের অধিনায়ক। ওর মতামত দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।'

এবার কোচ নির্বাচনের দায়িত্বে কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামীকে নিয়ে গঠিত অ্যাড হক কমিটি। ডিসেম্বরে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলেরও কোচ বেছে নিয়েছিল যে কমিটি। গায়কোয়াড় বুধবারই জানিয়েছেন যে, কোহলি বা শাস্ত্রী কারও মতামতই গুরুত্ব পাবে না। তাঁরা কোচ নির্বাচন করবেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে। সৌরভ অবশ্য গায়কোয়াড়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বলতে চাননি। বলেছেন, 'প্রত্যেকেরই চিন্তাভাবনার পরিসর আলাদা। এ নিয়ে কিছু বলব না।'

ডোপ কাণ্ডে পৃথ্বী শ-র নির্বাসন নিয়েও মন্তব্য করতে চাননি সৌরভ। বলেন, 'কাফ সিরাপের অনেকরকম কম্পোজিশন থাকে। পৃথ্বী শ-র ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে জানি না। সত্যিটা ঠিক কী জানি না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'

আইএফএ-র অনূর্ধ্ব ১৯ লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন সৌরভ। যে টুর্নামেন্টে মাঠের ঝামেলার জন্য ফাইনাল খেলা পণ্ড হয় ও ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে যুগ্মজয়ী ঘোষণা করা হয়। সৌরভ অবশ্য বলছেন, 'ম্যাচের ফলাফল হলেই ভাল হতো। সকলেই ম্যাচের ফলাফল দেখতেই মাঠে আসেন। তবে আইএফএ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর সবাইকেই সেটা মানতে হবে।'