মোহালি: বিরাট কোহলির চওড়া ব্যাটের ওপর ভর করে মোহালিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারাল ভারত। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ধোনিবাহিনী।

ভারতের জয়ে এদিন বড় ভূমিকা নেন টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এদিন ১৩৪ বলে ১৫৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান কোহলি। তাঁর দুরন্ত ইনিংস সাজানো ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায়।

প্রথম একদিনের ম্যাচে তাঁর ব্যাটের ওপর ভর করেই জিতেছিল ভারত। মাঝে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তিনি ব্যর্থ হতেই দলও হারের মুখ দেখে। এদিন ফের ঝলসে উঠল কোহলির ব্যাট। একদিনের কেরিয়ারে ২৬ তম শতরান করে ফেললেন তিনি। এরমধ্যে রান তাড়া করতে গিয়ে এটি তাঁর ষোড়শ শতরান।

এদিন কোহলিকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে প্রথমেই জোড়া ধাক্কা খায় ভারত। ১৩ রানের মাথায় প্রথম আউট হন অজিঙ্ক রাহানে (৫)। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অপর ওপেনার রোহিত শর্মাও (১৩)।

সেই সময় অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়তে শুরু করেন কোহলি। দুজনে মিলে কোনও অত্যাধিক চাপ না নিয়ে দলের স্কোরকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। ওই পর্যায়ে দুজনই অত্যন্ত হিসেবি ইনিংস খেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, কোহলির মত ধোনিও শতরান করবেন।

এমন সময় ছন্দপতন ঘটে। ব্যক্তিগত ৮০ রানে আউট হন ধোনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায়। ততক্ষণে তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দিয়ে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। ধোনি আউট হতে মণীশ পাণ্ডেকে (অপরাজিত ২৮) নিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন কোহলি।

এর আগে টসে জিতে বিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমাণিত হয়। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের মাঝপথে হঠাৎই ধস নেমেছিল। ১৫৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৯৯ রানে ৮ উইকেট হয়ে যায়। কিন্তু এরপর নিশম ও হেনরির দাপটে বড় রান করে নিউজিল্যান্ড।

৪৯.৪ ওভারে ২৮৫ রানে শেষ হয় কিউয়িদের ইনিংস। অর্ধশতরান করলেন টম লাথাম (৬১) ও জেমস নিশম (৫৭)। এছাড়া রস টেলর (৪৪) ও ম্যাট হেনরি (অপরাজিত ৩৯) ভাল ব্যাটিং করেন। ভারতের হয়ে উমেশ যাদব ও কেদার যাদব তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ ও অমিত মিশ্র।