কলকাতা : বাইক চালানোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হেলমেট (Helmet) পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেট পরে বাইক চালানোর যেমন কোনও বিকল্প নেই, তেমনই কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিকল্প নেই রিঙ্কু সিংহের (Rinku Singh)। আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকতে একের পর এক ম্যাচে কেকেআরের ব্যাটারের দুরন্ত পারফরম্যান্স আপাতত ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেই রিঙ্কুকেই কেকেআর-বাইকের 'হেলমেট' হিসেবে ব্যাখ্যা করে অভিনব প্রচার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
কলকাতা পুলিশের সোশাল পেজে রিঙ্কুর প্রশংসা করার পাশাপাশি দুরন্ত ছন্দে থাকা কেকেআর ব্যাটারকে ব্যবহার করা হয়েছে বাইক চালাতে হেলমেট পরার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রচারে। যেখানে একটি ছবি দিয়ে কলকাতা পুলিশের সোশাল পেজে লেখা হয়েছে, 'ভরসা থাকুক হেলমেটের ব্যবহারে। যেমন আছে রিঙ্কুতে কেকেআর-এ'। স্বাভাবিকভাবেই যে প্রচারাভিযান বেশ নড়ছে কেড়েছে নেটমহলে।
ইডেন গার্ডেন্সে পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ বলে দলকে জিতিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট কেকেআরকে এনে দিয়েছেন রিঙ্কু সিংহ। তাঁর ১০ বলে ২১ রানের ইনিংসের সুবাদে আপাতত ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে গিয়েছে কেকেআর। প্লে-অফের দৌড়েও প্রবলভাবে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। যদিও কাজটা এখনও ততটা সোজা নয়। কারণ, গ্রুপ পর্বের শেষ ৩ ম্যাচের প্রত্যেকটিতে জিতলে তবেই প্লে-অফের রাস্তা নিশ্চিত করতে পারবে কেকেআর। তাই আইপিএলের কঠিন রাস্তায় নেমে এগোতে থাকা কেকেআরকেরে অভিযানে অবিচ্ছেদ্য ও ভরসাযোগ্য পাত্র হয়ে ওঠা রিঙ্কু সিংহকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন- বিরাট থেকে বিদ্যা, শুভমন থেকে সুভদ্রা, ভারতীয় ক্রিকেটার 'কৃত্রিম' নারী-রূপ ভাইরাল নেটমহলে
এবারের আইপিএলে গুজরাতের ঘরের মাঠে টানা পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কায় দলকে জেতানোর সুবাদে কার্যত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। প্রতিযোগিতার একেবারে শুরুর দিকে রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য যে ইনিংসের সুবাদে দারুণভাবে ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা শিবির। এদিকে, রিঙ্কুতে মজেছেন তাঁর সতীর্থরাও। পাঞ্জাব ম্যাচের সেরা আন্দ্রে রাসেল যেমন বলেছেন, 'রিঙ্কু ভীষণ শান্ত। চাপের মুখে খোলা মনে খেলতে হয়, নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হয়। স্লোয়ার বল, ওয়াইড ইয়র্কার সব ধরনের বলের জন্য তৈরি হয়। রাসেল রাসেল বলে যখনে সকলে চিৎকার করে আমি পা মাটিতে রাখার চেষ্টা করি। যা করছে সেটাই চালিয়ে যেতে বলেছি। '