নয়াদিল্লি: খেলার নিষ্পত্তির জন্য কোন নিয়ম বেছে নেওয়া হবে? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মান রক্ষার্থে কি তুলে নেওয়া হবে বাউন্ডারি কাউন্টের নিয়ম? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেট কমিটির বৈঠকের পরই। সূত্রের খবর, অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি তাঁদের পরবর্তী বৈঠকে বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবে।


১৪ জুলাই ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের মহানাটকীয় ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়মের মাধ্যমেই। সুপার ওভারেও নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে টাইব্রেকার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই পদ্ধতিকে। ম্যাচের শেষে দুই দলের স্কোর একই থাকা সত্ত্বেও দেখা গিয়েছে বাউন্ডারির নিরিখে এগিয়ে ছিল ব্রিটিশ দল। বিশ্বকাপ ফাইনালে ২৪টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন ইয়ন মর্গ্যানরা, তার মধ্যে ২টি ছিল ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসনদের ইনিংসে এসেছিল কেবল ১৭টি-ই চার। কে কটা বাউন্ডারি মারল, এই নিয়মে এগিয়ে থেকেই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছেন বেন স্টোকসরা। কিউইদের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার পর আইসিসি-র এই নিয়ম নিয়ে সরব হন সংশ্লিষ্টমহলের অনেকেই। সিংহভাগই এই নিয়মকে ক্রিকেটের স্পিরিটের পক্ষে মানানসই নয় বলেই ব্যাখ্যা করেন। যদিও এই সমালোচনার পরও নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি আইসিসি।



তাদের তরফে বলা হয়, বিশ্বের সব পেশাদার ক্রিকেট লিগেই বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়ম চালু রয়েছে এবং এটি বেশ জনপ্রিয়ও। সেকারণেই বিশ্বকাপ ট্রফিকে তার নতুন চ্যাম্পিয়ন দেওয়ার জন্য ওই নিয়মেই ফয়সলা হয়েছে। তবে এবার সেই নিয়ম ‘বাতিল’ করার ব্যাপারেও কথা হতে পারে!


বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বনিয়ামক সংস্থার ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডিস জানিয়েছেন, “বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কোনও ইস্যু থাকলে তা ক্রিকেট কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপিত হবে।” আগামীতে বিশ্বকাপে যুগ্ম বিজয়ীর ব্যাপারে ভেবে দেখা হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “না, এমন কিছু নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। ফাইনাল ম্যাচে একজন জয়ী চাই, আর সেটার জন্য প্রয়োজনে সুপার ওভার দিয়ে টাই ম্যাচের নিষ্পত্তি করা হবে। শেষ তিনটে বিশ্বেকাপে এই চিন্তাভাবনাই ছিল।”


একই সঙ্গে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিরাট কোহলির মন্তব্যেকেও স্বাগত জানিয়েছেন জিওফ অ্যালারডিস। অগাস্টের শুরুতে অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু। বিরাট এই চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আশাবাদী। ভারত অধিনায়কের এই মনোভাব আগামী দিনে টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ প্রভাব ফেলবে বলেই মত আইসিসি ম্যানেজারের।