নয়াদিল্লি: ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা কোচ অনিল কুম্বলের। আর সেকারণেই তাঁর নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে বসা উচিত। তবে অনিল কুম্বলেকে সেই পদে বসাতে হলে বাৎসরিক পারিশ্রমিক অনেকটাই বাড়াতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে, মত বীরেন্দ্র সহবাগের।
বর্তমানে নির্বাচকমণ্ডলীর মাথায় রয়েছেন মাত্র ১৩ টেস্ট খেলা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এমএসকে প্রসাদ। তাঁকে বছরে এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেয় বিসিসিআই। সহবাগের মতে এক কোটি টাকায় নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান হতে চাইবেন না অনিল। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
‘দ্য সিলেক্টর’ নামের একটি অ্যাপ লঞ্চ অনুষ্ঠানে এসে সহবাগ বলেন, “আমার মনে হয় সিলেক্টরদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অনিল কুম্বলেই যোগ্য ব্যক্তি। তিনি এমন একজন, যিনি ক্রিকেটার হিসেবে একদিকে সচিন-সৌরভ-দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন আবার কোচ হিসেবে ইয়ংস্টারদেরও সাহায্য করেছেন।” ২০০৭-০৮ ক্রিকেট বর্ষে অস্ট্রেলিয়ায় কামব্যাক করার সময় সহবাগকে অভয় দিয়েছিলেন কুম্বলে। সেই স্মৃতি তুলে সহবাগ বলেন, “যখন আমি কামব্যাক করেছিলাম, অধিনায়ক কুম্বলে আমার ঘরে এসে বলেছিলেন, আগামী দুটি সিরিজ আমাকে বাদ দেওয়া হবে না। এমন আত্মবিশ্বাসই একজন খেলোয়াড় চান।”
আপনি কি এই পদে আসতে ইচ্ছুক? এই প্রশ্নের জবাবে নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সহবাগ বলেন, “আমি কোনও প্রতিবন্ধকতা চাই না। নিজে কলাম লিখি, টেলিভিশন শো করি। নির্বাচক হলেই একাধিক বাধা তৈরি হবে।”
এবার কোচ নির্বাচন পক্রিয়ায় কেন অংশ নিলেন না, সে বিষয়েও মত ব্যক্ত করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রাক্তন বিসিসিআই সেক্রেটারি ডঃ এমভি শ্রীধরের অনুরোধে কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এবার কেউ তাঁকে আবেদন করার কথা না বলায় তিনি আর সিভি জমা দেননি, এমনটাই জানিয়েছেন বীরু। এই অনুষ্ঠানে এসে স্বার্থের সংঘাত ইস্যু নিয়েও সরব হন তিনি। একজন একই সঙ্গে নির্বাচক এবং অ্যাকাডেমি কেন চালাতে পারবেন না, প্রশ্ন সহবাগের।
বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলা ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়েও পরামর্শ দেন বীরু। তাঁর মতে ভারত ৫ বোলার নিয়ে খেললে অবশ্যই অজিঙ্কা রাহানের খেলা উচিত। একমাত্র ৪ বোলার নিয়ে খেলার ক্ষেত্রেই রোহিত শর্মাকে দলে রাখা উচিত বলে মনে করেন সহবাগ। এই প্রসঙ্গে, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ধোনিকে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে, শ্রীসন্থের ওপর থেকে আজীবন নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত উঠে গিয়ে ৭ বছরের সাজা হওয়ায় খুশি সহবাগ। তাঁর কথায়, “আমি ওর (শ্রীসন্থ) জন্য খুশি। ওর এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা উচিত।”
‘নেক গার্ড’ ব্যবহার করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সহবাগ তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। শোয়েব আখতার, ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রাম, ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ডেল স্টেইন, শন পোলক, শেন বন্ডদের মতো বোলারকে খেলে আসা সহবাগ বলছেন, “বোলারকে ঘাড় দেখানোর প্রয়োজন কী? তোমার হাতে একটা ব্যাট আছে এবং তুমি শিরোস্ত্রণ পরে রয়েছো। আমার গোটা ক্রিকেট জীবনে আমি কোনও দিন চেস্ট গার্ড পর্যন্ত পরিনি।”