এই ম্যাচের শুরুটা অবশ্য করেছিল মোহনবাগান। ১৩ মিনিটে প্রথম গোল করে বাগানকে এগিয়ে দেন আজহারউদ্দিন। ইস্টবেঙ্গলের রাইট ব্যাক চুলোভাকে টপকে বক্সের বাঁ দিক থেকে নিচু ক্রস করেন ওমর। ফ্লাইট মিস করেন লাল-হলুদ গোলকিপার রক্ষিত ডাগার। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ভুল করেননি আজহারউদ্দিন। পিছিয়ে পড়ার চার মিনিটের মধ্যেই অবশ্য সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। ১৭ মিনিটে জবির থ্রু থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন ড্যানমাওয়াইয়া। মোহনবাগানের ফুটবলাররা অফসাইডের আবেদন জানান। তবে রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। ৪৪ মিনিটে অনবদ্য সাইড ভলি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জবি। প্রথমার্ধের শেষে ফল ছিল ২-১।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেই ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৬১ মিনিটে লালরিনডিকা রালতের ফ্রি-কিক মোহনবাগানের গোলকিপার শঙ্কর রায় সেভ করলেও, ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন ড্যানমাওয়াইয়া। এরপর লাল-হলুদ কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায়। এরই সুযোগ নিয়ে ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। ৭৫ মিনিটে ডানপায়ের জোরাল শটে গোল করে ব্যবধান কমান ডিকা। এরপর আর কোনও গোল হয়নি।