কলকাতা: গভীর নিম্নচাপের জেরে শহরজুড়ে রাতভর বৃষ্টি। আর শনিবারের বর্ষণমুখর সকালে দুঃসংবাদ ভারতীয় ক্রীড়াজগতে। ভারতীয় ফুটবলে আরও একটি নক্ষত্র পতন। প্রয়াত কিংবদন্তি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় (Badru Banerjee)।


শুক্রবার রাত ২.১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। রেখে গেলেন নাতনি এবং পুত্রবধূকে।


২৭ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএমে। গত কয়েকদিন ধরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বর্ষীয়ান ফুটবলারকে। প্রায় ২৪ দিনের লড়াইয়ের পর শুক্রবার মধ্যরাতে প্রয়াত হলেন তিনি। পিকে ব্যানার্জি, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পর বাংলার ফুটবল হারাল আরও এক কিংবদন্তিকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানে।


ভাল নাম সমর বন্দ্যোপাধ্যায় (Samar Banerjee)। কলকাতা ময়দানে যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় (Badru Banerjee) নামে পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে ভারতের (Indian Football) এই প্রাক্তন ফুটবলার ও অলিম্পিয়ানের (Olympian) বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। গত প্রায় একমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রাক্তন অলিম্পিয়ান।


স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা এবং অ্যাজোটেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বদ্রুকে।


 




অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাড়ি থেকে খবর দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবে। সবুজ-মেরুনের সচিব দেবাশিস দত্ত যোগাযোগ করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দফতর এবং মোহনবাগান ক্লাবের সহযোগিতায় অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি হয়। দুজন নিউরোলজিস্টও তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে।


আরও পড়ুন: শৃঙ্গজয়ের ৩ মাস পর পেলেন সার্টিফিকেট, স্বস্তি পেলেও এভারেস্টজয়ী পিয়ালির কাঁটা ঋণের বোঝা