লন্ডন: এটাই হয়ত নিয়তি ছিল! তা না হলে কী আর মার্টিন গাপ্টিলের থ্রো-তে অতিরিক্ত চার রান পেয়ে যান বেন স্টোকস। সেটাও আবার ম্যাচের শেষ ওভারে। যখন কিনা ইংল্যান্ডের জিততে হলে প্রয়োজন ১৫ রান। তারও আগে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরে দড়িতে ট্রেন্ট বোল্টের পা লেগে যাওয়া। ভাগ্য ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জয় যেন লেখাই ছিল। বিলম্বিত হলেও তা অবশেষে হলই। ৪৪ বছর পর বহু কাঙ্খিত বিশ্বকাপ জয়ের পর ব্রিটিশ বোলার লিয়াম প্লাঙ্কেটও মানছেন ক্রিকেট দেবতার ইচ্ছেতেই বিশ্বজয়ী হয়েছেন তাঁরা। টাই, সুপারওভারের নাটকের পর নাটক দেখে এই বোলার বলছেন, “আমি কখনও নিয়তি বা ভাগ্যে বিশ্বাস করি না। তবে এই প্রথম এমন কিছু বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি। এমনটাই বোধহয় লেখা ছিল।”



প্রসঙ্গত, ৩৪ বছরের এই ব্রিটিশ বোলার ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের অন্যতম কারিগর। গোটা প্রতিযোগিতায় সাতটি ম্যাচ খেলে ১১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ৩টি উইকেট এসেছে ফাইনালে। কেন উইলিয়ামসন, ওপেনার হেনরি নিকোলস ও জিমি নিসামের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতার মঞ্চ গড়ে দেন প্লাঙ্কেট। তারপর ব্যাটেও ১০ বলে ১০ রান, কম গুরুত্বের নয়। বিশেষ করে যখন লর্ডসের পিচে ব্রিটিশ টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে।



লিয়াম প্লাঙ্কেট বলছেন, “বিগত ৪ বছর ইংল্যান্ডের হয়ে পারফর্ম করা আমার জীবনের সেরা সময়। যদি আমরা বিশ্বকাপ নাও জিততাম, তাহলেও বলব এই যাত্রাপথটা অসধারণ ছিল। আমরা ব্রিটিশ ক্রিকেটের ধাঁচটাই বদলে দিয়েছি। মানুষ মনেপ্রাণে চাইছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতুক, কিছু বছর আগেও এমনটা ভাবা যায়নি। অ্যাসেজ জয়ের মতোই আনন্দ হচ্ছে।”