ব্রাসিলিয়া: দু'বছর আগে, ২০১৯ সালে পিঠে বিশাল ট্যাটু করানোর সময় ব্রাজিলের ইগর মাগালেজ় ভাবতেও পারেননি যে, একদিন সেই উল্কিতে অটোগ্রাফ করে দেবেন তাঁর প্রিয় নায়ক। শরীরে যাঁর রঙিন ট্যাটু করিয়েছেন।
পিঠে আর্জেন্তিনার মহানায়ক লিওনেল মেসির ছবি ট্যাটু করিয়েছেন ইগর। যে ছবি মেসির ফুটবল কেরিয়ারের একটি বিশেষ মুহূর্ত। ২০১৭ সাল। ছন্দে নেই মেসি। বার্সেলোনা সমর্থকেরা এলএম টেনের সমালোচনায় মুখর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন মেসি। ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতেছিল বার্সেলোনা। সেটি ছিল মেসির কেরিয়ারের পাঁচশোতম গোল। বার্নাবেউ স্টেডিয়ামে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে নিজের ১০ নম্বর জার্সিটা তুলে ধরেছিলেন মেসি। নীরবে যেন জবাব দিয়েছিলেন।
সেই দৃশ্যই নিজের পিঠের ট্যাটুতে ধরে রেখেছেন ইগর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যিনি ব্রাজিলের নাগরিক এবং লাতিন আমেরিকার দুই দেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কারও অজানা নয়। অথচ সেই বৈরিতা ভুলে মেসির ফুটবল প্রেমে বুঁদ ইগর। প্য়ারাগুয়ের বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকার পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিল আর্জেন্তিনা। ব্রাসিলিয়া স্টেডিয়ামে লা আলবিসেলেস্তেদের প্র্যাক্টিস দেখতে এসেছিলেন ইগর। একট চ্যানেলে তাঁর পিঠের মেসির ট্যাটুর ছবি সম্প্রচার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই দৃশ্য।
আর ইগরের সেই ভিডিওতে কমেন্ট করেন স্বয়ং মেসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনওই কোনও ভক্তের প্রশ্নের উত্তর দিতে বা প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায় না তাঁকে। তবে ইগরের ছবিতে তিনি লেখেন, 'দারুণ ট্যাটু। আমার ভারি পছন্দ হয়েছে। আমি ওটা দেখে সই করতে চাই।'
কথা রেখেছেন মেসি। ব্রাসিলিয়ায় যে হোটেলে আর্জেন্তিনার ফুটবলাররা রয়েছেন, সেখানে এসেছিলেন ইগর। হোটেল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসেন মেসি। মার্কার পেন দিয়ে ইগরের পিঠে অটোগ্রাফ দেন।
জানা গিয়েছে, মেসির সেই অটোগ্রাফ নুতন ট্যাটু করিয়ে আজীবনের জন্য নিজের সঙ্গী করে রেখেছেন ইগর। ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, 'এবার আমি শান্তিতে মরতে পারি।'