পুণে: অধিনায়ক বিরাট কোহলির মতোই শতরান করার পরে আউট হয়ে গেলেন কেদার যাদব। বিরাট ১০৫ বলে ১২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কেদার ফিরলেন ৭৬ বলে ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে। এই জুটিতে যোগ হয় ২০০ রান। কিন্তু তাঁরা দু জনেই আউট হয়ে যাওয়ার পর ফের চাপে পড়ে গিয়েছে ভারত।

ইংল্যান্ডের ৩৫০ রানের জবাবে ৪১ ওভারের শেষে ভারতের রান ৬ উইকেটে ২৯৯। হার্দিক পাণ্ড্য ১২ এবং  রবীন্দ্র জাডেজা ৫ রানে অপরাজিত। জয়ের জন্য এখনও ভারতের দরকার ৯ ওভারে ৫২ রান।

এর আগে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। তাঁর দলের বোলারদের জঘন্য পারফরম্যান্সের সুযোগ নিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫০ রান করে ইংল্যান্ড। জেসন রয় ৭৩, জো রুট ৭৮ এবং বেন স্টোকস ৬২ রান করেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। দুই ওপেনার শিখর ধবন (১) ও লোকেশ রাহুল (৮) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দীর্ঘদিন পর একদিনের দলে ফেরা যুবরাজ সিংহও (১৫) রান পেলেন না। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম একদিনের ম্যাচে ব্যর্থ হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও (৬)।



তবে বিরাট ও যাদবের লড়াইয়ের সুবাদে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। প্রকৃত অধিনায়কের মতোই লড়াই চালান বিরাট। চাপের মুখে ভাল খেলা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ক্রিস উকসের বলে ছক্কা মেরে একদিনের ক্রিকেটে ২৭-তম শতরান পূরণ করেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ১৭-তম শতরান করে সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড স্পর্শ করেন বিরাট। কিন্তু একদিনের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে অসাধারণ লড়াই চালিয়েও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না বিরাট।

অধিনায়ক ফিরে গেলেও, কেদার টি-২০ ম্যাচের মতোই ব্যাটিং করেন। তিনি মাত্র ৬৫ বলে শতরান পূরণ করেন। কিন্তু তারপরেই পায়ে টান ধরে। এরপর আউট হয়ে যান কেদার।