আইপিএল-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি আইপিএল গভর্নিং বডির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ৭ এপ্রিল প্রথম ম্যাচের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। তার আগে ৬ এপ্রিল সব দলের অধিনায়ক একত্রিত হয়ে বিশেষ ভিডিও শ্যুট করে সেই রাতেই ফিরে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
এই আধিকারিক আরও বলেছেন, গত বছর প্রথম ম্যাচের একদিন আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ায় সব দলের অধিনায়কই সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। কিন্তু এবার প্রথম ম্যাচের দিনই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরের দিন বিকেল চারটে থেকে মোহালিতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের এবং রাত আটটা থেকে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের খেলা। এই চারটি দলের খেলার বিষয়ে আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা করেননি আইপিএল-এর আধিকারিকরা। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আইপিএল-এর সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের আরও ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। বিকেলের ম্যাচের একদিন আগে গৌতম গম্ভীর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ডাকা হচ্ছে। এটা প্রস্তুতির অভাব ছাড়া আর কিছুই নয়। অশ্বিন ও গম্ভীর যদি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতেন, তাহলে তাঁদের রাত ৯টায় মুম্বই থেকে দিল্লির বিমান ধরতে হত। কারণ, অত রাতে মুম্বই থেকে চণ্ডীগড়ের উড়ান নেই। রাতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। ফলে সেক্ষেত্রে গম্ভীর ও অশ্বিনকে হয় ম্যাচের দিন সকালে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড়ের উড়ান ধরতে হত, অথবা আগের রাতে গাড়িতে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যেতে হত, যেটা খুব ঝুঁকিবহুল হত। এমনকী, বিরাট কোহলি ও দীনেশ কার্তিককেও ম্যাচের আগের দিন উড়ান ধরতে হত। তাই এ বিষয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল।’
এ বিষয়ে বিসিসিআই-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সি কে খন্না বলেছেন, ‘যাতায়াত নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে। অধিনায়কদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের দিন ডেকে ভিডিও শ্যুট করা হবে। সেই ভিডিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হবে।’