চেন্নাই: পাঁচবারের আইপিএল চ্য়াম্পিয়ন। এবার আরও একবার ট্রফি জয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউ সুপারজায়ান্টসকে ৮১ রানে হারিয়ে দিয়ে এবার গুজরাতের সামনে রোহিত বাহিনী। ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র ২ ধাপ দূরে মুম্বই শিবির। গুজরাতকে হারালে ফাইনালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পাঁচবারের আইপিএল জয় দল।
১৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রেরক মাঁকড়কে ফিরিয়ে দেন আকাশ মাধওয়াল। মাত্র ৩ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি। আকাশ মাধওয়ালের প্রথম শিকার হন তিনি। লখনউয়ের আরেক ওপেনার কাইল মায়ের্সও এদিন বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি ১৮ রান করে ফেরেন। লখনউয়ের অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন। মার্কাস স্টোইনিস ২৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৩ বলে ১৫ রান করেন দীপক হুডা। এছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দু অঙ্কের স্কোর করতে পারেননি। মুম্বইয়ের হয়ে আকাশ মাধওয়াল ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট তুলে নেন। এই আইপিএলই আকাশের প্রথম আইপিএল ছিল। আর তাতেই বাজিমাত করলেন। আনক্যাপড ইন্ডিয়ান বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নিলেন এক ম্য়াচেই। ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অল আউট হয়ে গেল লখনউ সুপারজায়ান্টস। ১টি করে উইকেট পান ক্রিস জর্ডন ও পীযূষ চাওলা। এদিন লখনউয়ের ইনিংসে তিনটি রান আউট হয়।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। আগের ম্যাচে রোহিত শর্মা সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। এদিনও শুরুটা দারুণ করেছিলেন হিটম্য়ান। কিন্তু নবীন উল হকের প্রথম শিকার হন তিনি। কিন্তু এদিন ১১ রান করেই ফেরেন রোহিত। ১৫ রান করে আউট হন ঈশান কিষাণও। ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফর্মে ছিলেন গ্রিন। এদিনও সেখান থেকেই যেন শুরু করেছিলেন। তিনি ২৩ বলে ৪১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান অজি তারকা। সূর্যকুমার ২০ বলে ৩৩ রান করে নবীন উল হকের বলে আউট হন। তিনিও ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। ঈশান কিষাণ ছাড়া বাকি তিনজনের উইকেট নেন নবীনই। টিম ডেভিড ১৩ বলে ১৩ করে আউট হন।
লোয়ার অর্ডারে তিলক ভার্মা ও নেহাল ওয়াধেরা মিলে এরপর পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন। তিলক ২২ বলে ২৬ রান করেন দুটো ছক্কার সাহায্যে। নেহাল ১২ বলে ২৩ রান করেন ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮২ রান তুলে নেয় মুম্বই।