জয়পুর: ঘরের মাঠে দাপট রাজস্থান রয়্যালসের (RR vs LSG)। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস আটকে গেল ১৫৪/৭ স্কোরে। ম্যাচ জিততে ১৫৫ রান তুলতে হবে রাজস্থানকে।
টস জিতে লখনউকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক। সঞ্জু স্যামসন বলেছিলেন, পিচ দেখে ভাল মনে হচ্ছে। দলে একটিই পরিবর্তন করেন তিনি। অ্যাডাম জাম্পার পরিবর্তে খেলান ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারকে। লখনউ অধিনায়ক কে এল রাহুল বলেছিলেন, টস জিতলে তিনিও প্রথমে ফিল্ডিংই নিতেন। তবে এদিনও সুযোগ পাননি কুইন্টন ডি'কক। পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয় নিকোলাস পুরানকে। আর ওপেনিং করানো হয় কাইল মেয়ার্সকে।
লখনউ শুরুটা করেছিল সতর্ক ভাবে। শুরুতে উইকেট পড়েনি। তবে খুব একটা আগ্রাসী ব্যাটিংও করেননি লখনউয়ের দুই ওপেনার কে এল রাহুল ও মেয়ার্স। ৩২ বলে ৩৯ রান করে রাহুল যখন আউট হন, ১০.৪ ওভারে ৮২ রান বোর্ডে তুলেছে লখনউ। রান রেট প্রায় ৮। মনে করা হয়েছিল, হাতে উইকেট থাকায় পরের ৯-১০ ওভারে ব্যাট হাতে ঝড় তুলবেন লখনউ ব্যাটাররা।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। রাজস্থান বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ লখনউয়ের মিডল অর্ডার। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে নজরকাড়া ব্যাটিং করছেন আয়ূষ বাদোনি। তবে বুধবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। তিন নম্বরে নেমে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দীপক হুডা ৪ বলে ২ রান করে আউট হন। লড়াই করলেন একমাত্র কাইল মেয়ার্স। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪২ বলে ৫১ রান করে অশ্বিনের শিকার তিনি।
বিনা উইকেটে ৮২ থেকে ১০৪/৪ হয়ে যায় লখনউ। মার্কাস স্টোইনিস ও নিকোলাস পুরান পাল্টা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু কেউই বড় রান পাননি। ১৬ বলে ২১ রান করে ফেরেন স্টোইনিস। ২০ বলে ২৯ রান করেন পুরান। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রুমাল পাণ্ড্য।
রাজস্থান বোলারদের মধ্যে সেরা আর অশ্বিন। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন। একটি মেডেনও নেন তিনি। তবে ৪ ওভারে ৪১ রান খরচ করেন যুজবেন্দ্র চাহাল।