টোকিও: তাঁর বয়স তখন মাত্র এক বছর। ভুল চিকিৎসার খেসারত দিতে হয়েছিল। কোমর থেকে তাঁর শরীরের নীচের অংশ পঙ্গু হয়ে পড়েছিল। তবে মনোজ সরকারের (Manoj Sarkar) মনোবলে চিড় ধরেনি।


শনিবার টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতে নিলেন সেই মনোজ। ব্যাডমিন্টনে পুরুষ সিঙ্গলসের এস এল থ্রি বিভাগে বিশ্বের এক নম্বর মনোজ। 



জাপানের দাইসুকে ফুজিহারাকে ২২-২০, ২১-১৩ গেমে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে নিলেন মনোজ।


প্যারালিম্পিক্সে ভারতীয় অ্যাথলিটদের নজরকাড়া পারফরম্যান্স চলছে। শনিবার দেশকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিলেন প্রমোদ ভগৎ (Pramod Bhagat)। ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের সিঙ্গলসে এসএল থ্রি বিভাগে সোনা জিতলেন ভারতীয় শাটলার।


প্রমোদ শনিবার ফাইনালে গ্রেট ব্রিটেনের ড্যানিয়েল বেথেলকে ২১-১৪, ২১-১৭ ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন। ২১-১৪ ব্যবধানে প্রথম গেম প্রমোদ জিতে নিলেও দ্বিতীয় গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। প্রমোদ একটা সময় ৪-১১ পিছিয়ে ছিলেন এবং মনে করা হচ্ছিল ম্যাচের ফয়সালা হবে তৃতীয় গেমে। কিন্তু সেখান থেকেই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটান।


প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম প্যারালিম্পিক্সে ব্যাডমিন্টন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর প্রথমবারই সোনা জিতে ইতিহাসে নাম লেখালেন প্রমোদ। এদিনই একই ক্যাটাগরিতে (পুরুষ সিঙ্গলসের এস এল থ্রি) ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতের মনোজ সরকার।


শ্যুটিং থেকে সোনা ও রুপো জয় ভারতের। মিক্সড ৫০ মিটার পিস্তলে সোনা জয় মনীশ নারওয়ালের।একই ইভেন্টে রুপো জয় সিংহরাজ আধানার (Singhraj Adhana)।  সব মিলিয়ে চলতি প্যারালিম্পিক্সে   ১৫টি পদক জয় ভারতের।


হরিয়ানার কাথুরা গ্রামের বাসিন্দা মণীশ নারওয়াল (Manish Narwal) মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়লেন। মণীশ তাঁর প্রথম দুটি শটেই মাত্র ১৭.৮ স্কোর করেছিলেন। কিন্তু এরপর নাওয়াল দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন। পাঁচটি শটের পর নারওয়াল প্রথম তিনে জায়গা করে নেন। পাঁচটি শটের পর তাঁর স্কোর ছিল ৪৫.৪। ১২ শটের পর মণীশ নারওয়াল ১০৪.৩ স্কোর করে পঞ্চম স্থান বজায় রাখেন।


অন্যদিকে, সিংহরাজ ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছিলেন। ১৪ তম শটের পর সিংহরাজ চার নম্বরে ছিলেন সিংহরাজ। ১৪ তম শটের পর ফাইনাল ইভেন্টে মাত্র ছয় খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতের দুজন সিংহরাজ ও মণীশ নারওয়াল। যদিও দুই খেলোয়াড়েরই ইভেন্টের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।


প্যারালিম্পিক্সে ফের সাফল্য ভারতের, ৫০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে সোনা মণীশ নারওয়ালের