কলকাতা: গত ৩ আগস্ট সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর। কিন্তু সূত্রের খবর, মনোজ তিওয়ারি তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করতে পারেন। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়কের আচমকা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছিল বাংলা ক্রিকেটপ্রেমীদেরই শুধু নয়, সিএবিকেও। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি লাইভকে জানিয়েছিলেন যে তিনি নিজে মনোজের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলবেন। এরপরই মনোজ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলকে জানিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
এখনও পর্যন্ত মনোজ তাঁর অবসর প্রত্যাহারের বিষয়ে কিছু সরকারি ঘোষণা করেননি। আজ বিকেলে সিএবিতে এক সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন হবে সিএবিতে। সেখানে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা মনোজেরও। সূত্রের খবর, সেখানেই হয়ত নিজের অবস্থানের কথা জানাতে পারেন এই ডানহাতি ব্য়াটার।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্রিকেট থেকে পাকাপাকিভাবে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তাঁকে বলা হতো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বাংলার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিমান ব্যাটার। তবে বারবার সঙ্গী হয়েছে উপেক্ষা। জাতীয় দলের জার্সিতে সেঞ্চুরি করেও বাদ পড়েছেন। রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্নও অধরা থেকে গিয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০০৮। ভারতের জার্সিতে ওয়ান ডে অভিষেক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ব্রিসবেনে। ভারতের হয়ে ১২টি ওয়ান ডে ম্যাচে ২৮৭ রান। একটি সেঞ্চুরি। একটি হাফসেঞ্চুরি। দেশের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন। ওয়ান ডে-তে রয়েছে বল হাতে ৫ উইকেটও। তবে চোট আঘাত ভুগিয়েছে। ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন। যদিও বারবার হয়েছেন বঞ্চনার শিকার। পারফর্ম করেও সুযোগ পাননি। ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের নির্বাচনের টেবিলে।
প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৯৯০৮ রান। ২৯টি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০৩ রানের ইনিংস। দেবাঙ্গ গাঁধীর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা একমাত্র বাঙালি। আইপিএলে খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স-সহ একাধিক দলে। সাধ ছিল, বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি জয়ের। বারবার ফাইনালে উঠে পরাজয় হজম করেছেন। গতবার তাঁর নেতৃত্বেই রঞ্জি ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। কিন্তু ইডেনে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়।