নয়াদিল্লি: প্য়ারিস অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য পদক মিস করেছেন। তাও অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকেই বাতিল হয়ে যেতে হয়েছিল। ৫০ কেজি কুস্তির ফাইনালে পৌঁছেও সোনা জয়ের ম্য়াচের দিনই বাতিল হয়ে যেতে হয় বিনেশকে। ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার জন্য অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে বাতিল হয়ে যেতে হয়। গতকাল দেশে ফেরেন বিনেশ। নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয় বিনেশকে। এবার দেশের ফেরার দু দিনের মধ্যে কুস্তির আঙিনায় ফের প্রত্য়াবর্তনের ভাবনার কথা জানিয়েছেন মহিলা এই কুস্তিগির। নিজের গ্রামেও সোনার মেয়ের মতই বরণ করা হয়েছে বিনেশকে। গ্রামে প্রবেশ করতেই তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে গ্রাম। ৭৫০ কেজি লাড্ডু উপহার দেওয়া হয়েছে।
বিনেশ জানিয়েছেন, ''আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি, আমি একটি নিশ্চিত অলিম্পিক্স পদক মিস করে গিয়েছি। তবে আমি দেশে ফিরে বিশাল ভালবাসা পেয়েছি। আমাদের গ্রামের মানুষ, আমার সতীর্থ, আমার পরিবারের মানুষদের থেকে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি, তার কোনও তুলনা হয় না। এই ব্যথা সেরে তোলার জন্য কিছুটা আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। বড়দের, গুরুজনদের, আমার মায়েদের, আমার বোনেদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। হয়ত, আমি কুস্তিতে ফের প্রত্যাবর্তন করতেও পারি।''
এর আগে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিনেশ ফোগতের জেঠু মহাবীর ফোগত বলেছেন, ''আগামী ১৭ আগস্ট বিনেশ দেশে ফিরবে। ওকে আমরা সোনাজয়ীর মত করেই বরণ করব। আমরা আশা করেছিলাম যে রায় বিনেশের পক্ষে যাবে। কিন্তু তার আশা নেই আর। তবে আমরা হাল ছাড়ব না। আমরা চেষ্টা করব বিনেশ যেন ২০২৮ অলিম্পিক্সে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে। সঙ্গীতা ও রিতুকেও আমরা ২০২৮ অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি করব।'' এর আগে বিনেশ নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ''হয়তো অন্য পরিস্থিতিতে ২০৩২ সাল পর্যন্ত নিজেকে কুস্তি করতে দেখব। কারণ আমার মধ্যের লড়াই, আমার কুস্তি সব সময় থেকে যাবে। জানি না ভবিষ্যতে আমার জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত সত্যের জন্য সব সময় লড়াই করে যাব।''
আরও পড়ুন: সেই একই বোলিং অ্যাকশন, সেই একই রান আপ, এ তো অবিকল বুমরা! কে এই ভাইরাল স্কুলছাত্রী?