ক্যাম্প ন্যু: কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকে দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তাঁর। কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর অন্যতম প্রিয় ফুটবলারও। যিনি নিজেও মাঠের মহানায়ক। তিনি, লিওনেল মেসি।


প্রয়াত মারাদোনাকে অভিনব উপায়ে শ্রদ্ধা জানালেন মেসি। একসময় তাঁকে বলা হতো ‘নতুন মারাদোনা’। সেই পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে লিওনেল মেসি নামটাই ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। তবে দুজনের মধ্যে তুলনা তবু থামেনি। ২০১০ বিশ্বকাপের সুবাদে গুরু-শিষ্য রূপেও দেখা গেছে তাঁদের। দিয়েগো মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানাতে তাই অনন্য কিছুই করে দেখানোর চিন্তা করেছিলেন মেসি। রবিবার ওসাসুনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জেতার পথে বার্সেলোনার জার্সিতে সেটাই করেছেন মেসি।



কেরিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে মারাদোনা আর্জেন্তিনায় ফিরেছিলেন ১৯৯৩ সালে। যোগ দিয়েছিলেন নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে। ১৯৯৪ পর্যন্ত খেলেছেন এই ক্লাবের হয়েই। আর সাত বছরের মেসির নিওয়েলসে যোগ দেওয়া ১৯৯৪ সালে! সে ক্লাবে ৭ বছর কাটিয়ে তবেই বার্সেলোনায় এসেছেন। কিংবদন্তির বিদায়ে তাঁকে স্মরণ করতে আজ সেই নিওয়েলসের স্মৃতিকেই টেনে এনেছেন। ওসাসুনার বিপক্ষে গোল করে বার্সেলোনার জার্সি খুলেছেন, দেখিয়েছেন গায়ে চাপানো নিওয়েলসের ১০ নম্বর জার্সিটা। যে জার্সি পরে তাঁর প্রিয় ক্লাবে খেলতেন মারাদোনা।

">


রবিবার ক্যাম্প ন্যু-তে যেন মারাদোনাকে গোল উৎসর্গ করবেন ভেবেই নেমেছিলেন মেসি। ৭৩ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। গোল করেই বার্সেলোনার জার্সিটা খুলে ফেলেন মেসি। দেখান নিওয়েলসের ‘১০ নম্বর’ জার্সি। আকাশের দিকে তাকিয়ে চুম্বন ছুড়ে দিতেও দেখা যায় এলএমটেন-কে।

তবে জার্সি খুলে নিয়মভঙ্গ করেন মেসি। সে জন্য তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। যদিও তাতে মেসির শ্রদ্ধার্ঘ্যের তাল কাটেনি।