আজ মুম্বইয়ের জয়ের অন্যতম নায়ক বাঁ হাতি ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তিনি ৪৪ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৯৪ রান। রোহিত ৩৫ রান করে শিবম মাভির বলে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১০ রান করেই বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। চার নম্বরে নামা হার্দিক পাণ্ড্য ১১ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তোলে কলকাতা। তাও একটা সময় মনে হচ্ছিল এই রানটাও বোধহয় উঠবে না। ৬১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে প্যাট কামিন্স ও সদ্য অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়া ইয়ন মর্গ্যানের জুটি দলের সম্মান কিছুটা হলেও বাঁচায়। যদিও শেষপর্যন্ত ম্যাচ বাঁচল না।
এদিন শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। প্রথমে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠি (৭)। এরপর ফিরে যান তিন নম্বরে নামা নীতীশ রানা (৫)। শুবমান গিল (২১) কিছুটা লড়াই করেন। অধিনায়কত্ব হারানো দীনেশ কার্তিক ৮ বল খেলে একটি বাউন্ডারি মারা ছাড়া আর কোনও রান করতে পারেননি। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জবাব দিতে ব্যর্থ হন। বরং সমালোচকদেরই আরও সুযোগ দিলেন। আন্দ্রে রাসেল করেন ১২ রান। এরপর লড়াই শুরু করেন মর্গ্যান ও কামিন্স। বিশেষ করে কামিন্স দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাঁর অর্ধশতরান দলকে সম্মানজনক স্কোর গড়তে সাহায্য করে। তিনি ৩৬ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। মর্গ্যান ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মুম্বইয়ের হয়ে রাহুল চাহার জোড়া উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, নাথান কুল্টার-নাইল জসপ্রীত বুমরাহ।