নয়াদিল্লি:  আই লিগ-আইএসএল সংঘাত এবার পৌঁছে গেল ফিফার দরবারে। বয়সে প্রবীণ হলেও আই লিগকে ভারতের দ্বিতীয় সারির টুর্নামেন্টে পরিণত করার চেষ্টা চলছে, এমন অভিযোগ জানিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে চিঠি পাঠাল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ ছয় ভারতীয় ক্লাব। চাওয়া হল সাহায্যও।


বাংলার দুই প্রধান ছাড়া ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে পাঠানো অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে মিনার্ভা পঞ্জাব, চার্চিল ব্রাদার্স, আইজল এফসি ও গোকুলম কেরল এফসি। চিঠিতে সই করেছেন মিনার্ভা পঞ্জাবের মালিক রঞ্জিত বাজাজ।

ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা এআইএফএফ আইএসএলকে দেশের প্রধান লিগ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ক্লাবগুলো। আই লিগকে দ্বিতীয় সারির টুর্নামেন্টে পরিণত করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ। ফিফাকে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর এবং এআইএফএফের বিবৃতি থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০১৩ সালে জন্ম নেওয়া আইএসএলকে দেশের প্রধান লিগ করতে চাইছে খোদ এআইএফএফ। সেই সঙ্গে ২০০৭ সালে শুরু হওয়া দেশের প্রথম পেশাদার লিগ আই লিগকে দ্বিতীয় সারির লিগে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।’

কয়েকদিন আগেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিল ক্লাবগুলো। ইনফান্তিনোকে লেখা চিঠিতে এইআইএফএফের কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত করার আবেদনও করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় ফুটবলের মান দ্রুত পড়ছে। ভারত-সহ বিশ্বের সর্বত্র ফুটবল ভীষণ জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু দেশের ফুটবল প্রশাসনের কর্মপ্রণালী সেই জনপ্রিয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

চলতি মাসের শুরুতে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল ক্লাবগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, আরও ২-৩ বছর যাতে আই লিগ ও আইএসএল এক সঙ্গেই চলে, সেটা নিশ্চিত করতে তিনি এশীয় ফুটবল সংস্থা এএফসি-র দ্বারস্থ হবেন। যদিও ক্লাবগুলো তাতে খুব একটা আশ্বস্ত নয়।

ফিফাকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, আইএসএল একটা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক প্রকল্প যাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করে। লেখা হয়েছে, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। বেশিরভাগ ফুটবলারই ৩৫ বছরের বেশি বয়সী। বিদেশে যে সমস্ত ফুটবলারদের কোনও ক্লাব নেয় না, তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে। তাতে ভারতীয় ফুটবলের মান পড়ছে। আইএসএল পুরোপুরি আইপিএলের মতোই এবং এরকম বাণিজ্যিক একটা লিগকে কীভাবে দেশের প্রধান লিগ করা যায়!’