এর আগে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে ‘এসওপি’ জারি করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ৫০ শতাংশ দর্শক খেলা দেখতে যেতে পারবেন। কিন্তু এবার নতুন ‘এসওপি’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আউটডোর স্পোর্টস ইভেন্টে স্টেডিয়ামে যত দর্শক আসন রয়েছে, তার সবগুলিতেই দর্শকদের বসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে দর্শকাসনে এবং গ্যালারিতে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথে যাতে একসঙ্গে বহু মানুষ জড়ো না হয়ে যান, সিসিটিভি-র মাধ্যমে তার উপর নজর রাখতে হবে। স্বাভাবিক বাতাসের পথ যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। কৃত্রিম বাতাসের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যতটা বেশি সম্ভব তাজা বাতাসের পরিমাণ বাড়াতে হবে।’
শুধু দর্শকদের জন্যই নয়, অ্যাথলিটদের জন্যও ‘এসওপি’ জারি করা হয়েছে। অ্যাথলিটদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘৬ ফুটের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যত বেশি সময় সম্ভব মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। খেলার মাঠে, মাঠের বাইরে বা যাতায়াতের পথে কোথাও থুতু ফেলা যাবে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজকদের জানাতে হবে।’
ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলির আয়োজকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, ‘স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলির আয়োজকদের। যেখানে খেলা হবে এবং যে হোটেল বা হস্টেলে ক্রীড়াবিদদের রাখা হবে, সেগুলি কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে কি না, সেটা জেনে নিতে হবে। করোনার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মাঠ, অনুশীলনের জায়গা, জিম, স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র, শৌচাগার সহ সব জায়গা স্যানিটাইজ করতে হবে। ক্রীড়াবিদরা যে জায়গাগুলি ব্যবহার করবেন, সেগুলি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সাফাইকর্মীদের সবসময় পিপিই কিট পরে থাকতে হবে। স্যুইমিং পুলের জল সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। একে অপরের সাবান, তোয়ালে ব্যবহার না করাই ভাল।’