আজ হাওড়ার ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়াল ভাষণে অমিত শাহ বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে আয়ুষ্মান ভারত চালু করব।’
এই প্রেক্ষাপটে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে, ২০১১ সালের ২৩ মে-র কথা। ক্ষমতায় এসে প্রথম ক্যাবিনেটের বৈঠকেই সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানার জন্য নেওয়া জমির মধ্যে ৪০০ একর জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েকবছর ধরে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যে কয়েকটি বিষয়ে সংঘাত চরমে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হল ‘আয়ুষ্মান প্রকল্প’। মোদি সরকারের এই প্রকল্পকে বাংলায় চালু না করা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে ভোটের আগে রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালুকে গেমচেঞ্জার হিসেবে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর কথা বলে কি আদতে তৃণমূলের দাবি করা ‘স্বাস্থ্যসাথী অ্যাডভানটেজ’-কেই কেড়ে নিতে চাইলেন অমিত শাহ?
আয়ুষ্মান ভারতের পাশাপাশি এদিন পিএম কিষাণ প্রকল্প নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। মোদি সরকারের এই প্রকল্প চালু নিয়েও একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রকল্পে সায় দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রকল্পের অধীনে থাকা কৃষকদের নাম পাঠালেও তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যই পাঠায়নি রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, ‘কৃষকদের আরও একবার ধোঁকা দিয়েছেন দিদি। শুধু নাম দিলেই হবে না, তথ্য দিতে হবে, তা দেওয়া হয়নি।’
এদিন ‘ভাইপো’ ইস্যুতেও রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া আর কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। তৃণমূল সরকার একমাত্র ভাইপোর কল্যাণে ব্যস্ত। খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় আসছি। মোদির নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তন আসবে।’
অমিত শাহকে পাল্টা আক্রমণ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমাদের দল গণতান্ত্রিক। আমরা গণতন্ত্র মেনেই চলি। উনি বরং নিজের কথা ভাবুন। জয় শাহকে কী করতে চাইছে ভাবুন।’
সবমিলিয়ে ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক-বিরোধী আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঝাঁঝ তত বাড়ছে। বাতাসে এখনও শীতের আমেজ থাকলেও, বঙ্গ রাজনীতিতে পারদ চড়ছে।