লন্ডন: পাকিস্তানের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যেতে মরিয়া টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়ক মিসবা উল হক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট জিতে সমতা ফিরিয়ে আনার পর এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মিসবা। তাঁর মতে, ওভালের এই জয় ভবিষ্যতের সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে।

 

রবিবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ওভাল টেস্টে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান। এই বিশাল জয়ে উল্লসিত পাকিস্তান শিবির। আজ মিসবা বলেছেন, ‘ওভালের জয় এসেছে স্বাধীনতা দিবসে। শুধু তাই নয়, এই জয় ভবিষ্যতের টেস্ট দলের সামনে দৃষ্টান্ত রেখে যেতেও সাহায্য করবে। সেই কারণে এই জয় আমাদের কাছে আনন্দদায়ক। ভাগ্যের সহায়তা পেলে এই সিরিজ জিততেও পারতাম আমরা। তবে ইংল্যান্ডের মতো ভাল দলের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করাও কম কৃতিত্বের নয়।’

 

২০১০ সালে বিতর্কিত ইংল্যান্ড সফরের পরেই পাকিস্তানের অধিনায়ক নির্বাচিত হন মিসবা। তারপর থেকে পাকিস্তানের টেস্ট দল নিয়ে আর কোনও বিতর্ক হয়নি। মিসবার নেতৃত্বে দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। নিজের এই ভূমিকা নিয়ে মিসবা বলেছেন, ‘আমি যখন অধিনায়ক হয়েছিলাম, তখন আমার লক্ষ্যই ছিল সাফল্য অর্জন করা এবং উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া। দলকে ঐক্যবদ্ধ করার দরকার ছিল। ঐক্য সবসময় সাফল্য আনে। ইংল্যান্ডে কঠিন পরিস্থিতিতেও ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সাফল্য পেয়েছি। সিরিজে সমতা সূচক জয় এই দলকে অনেক দূর যেতে সাহায্য করবে। পরবর্তী ৬ মাসে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলব। সেই সিরিজগুলিতে ভাল খেলতে সাহায্য করবে এই জয়।’

 

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজের প্রথম টেস্টে লর্ডসে শতরান করেছিলেন মিসবা। সেই টেস্ট জিতে সিরিজের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের দুটি টেস্টে বড় ব্যবধানে জয় পায় ইংল্যান্ড। শেষ টেস্টে অবশ্য জিতেছে পাকিস্তান। আধুনিক পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার উদাহরণ টেনে মিসবা বলেছেন, তিনি দলের প্রত্যেককে বলেছেন, কঠিন সময়েও যেমন জিন্না কঠোর পরিশ্রম থেকে বিরত হতেন না, তাঁদেরও তেমনই বড় দলগুলির পথ অনুসরণ করে ভাল খেলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আশা হারালে চলবে না।