হায়দরাবাদ: ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের প্রথম দিন রেকর্ডবুকে নাম তুলে ফেললেন চেতেশ্বর পূজারা ও করুণ নায়ার। দু জন ভিন্ন কারণে। তবে মিল হল, রেকর্ড গড়েও দু জনেরই খুব একটা খুশি হওয়ার কথা নয়। কারণ, পূজারা নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করলেন এবং করুণ নায়ার টেস্টের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করার পরের টেস্টেই বাদ পড়লেন।


পূজারা আজ তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ বলে ৮৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসের সুবাদেই প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। সেই সঙ্গেই রেকর্ড গড়ে ফেললেন পূজারা। এক মরসুমে সর্বোচ্চ রানের জাতীয় রেকর্ড এতদিন ছিল চাঁদু বোরদের দখলে। ১৯৬৪-৬৫ মরসুমে টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ মিলিয়ে মোট ১,৬০৪ রান করেছিলেন বোরদে। আজ ৮৩ রান করে চলতি মরসুমে ১,৬০৫ রান করে ফেললেন পূজারা। চোট না পেলে নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আরও চারটি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। ফলে এক মরসুমে ২,০০০ রান করার রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে পূজারার সামনে। এর আগে ২০১২-১৩ মরসুমে তিনি করেছিলেন ১,৫৮৫ রান। নিজের সেই রানই টপকে গেলেন পূজারা।

নায়ারের আগে ফিট থাকা সত্ত্বেও কেউ ত্রিশতরান করার পরের টেস্টেই বাদ পড়েননি। এর আগে মাত্র তিন জন ত্রিশতরান করার পরের টেস্টে খেলতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে প্রথম জন ছিলেন এমসিসি-র অ্যান্ডি স্যান্ডহ্যাম। ১৯২৫ সালে জামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টাইমলেস টেস্টে ৩২৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০। নবম দিনে সেই টেস্ট শেষ করে দিতে হয়। কারণ, এমসিসি দলের জাহাজে ওঠার কথা ছিল। সেই টেস্টের পরেই চোটের জন্য স্যান্ডহ্যামের টেস্ট জীবন শেষ হয়ে যায়।

লেন হাটন ও ইনজামাম উল হকও ত্রিশতরান করার পরের টেস্টে খেলতে পারেননি। ১৯৩৮ সালের অগাস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ৩৬৪ রান করেন হাটন। কিন্তু চোটের কারণে তিনি পরের টেস্ট খেলেন সে বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

ইনজামাম ২০০২ সালের মে মাসে লাহৌরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২৯ রান করেন। এরপর ফিটনেসজনিত কারণে কয়েক মাস তাঁকে টেস্ট দলের বাইরে থাকতে হয়। ইনজামাম পরের টেস্ট খেলেন ২০০২ সালের নভেম্বরে হারারেত জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে।