নয়াদিল্লি: সব ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মহম্মদ কাইফ। ৩৭ বছরের কাইফ ভারতের হয়ে ১৩ টেস্ট ও ১২৫ টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ২০০২-এ লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তাঁর ম্যাচ জেতানো ৮৭ রানের ইনিংস ভারতীয় দলের সমর্থকদের মণিকোঠায় অম্লান হয়ে রয়েছে।
কাইফ তাঁর সমস্ত ধরনের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট সি কে খান্না ও কার্যনির্বাহী সচিব অমিতাভ চৌধুরীকে ই-মেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার ১৬ বছর পর আজ আমি অবসর নিচ্ছি। ওই জয়ে আমার অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি। সেই মুহূর্তটি চিরদিনের জন্য মনে রাখতে চাই। ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।
ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কাইফ। প্রায় পাঁচ বছর ভারতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। সেই সময় ৩০ গজ সার্কেলে, বিশেষ করে কভার এলাকায় ফিল্ডিংয়ে তাঁর ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা দর্শকের রোমাঞ্চিত করেছে।ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
১২৫ টি একদিনের ম্যাচে তাঁর গড় ৩২। রয়েছে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি। কিন্তু এই শুষ্ক পরিসংখ্যান দিয়ে কাইফকে মাপা সম্ভব নয়। বোঝা সম্ভব নয়, ছয় বা সাত নম্বরে নেমে, যেখানে বেশি বল খেলার সুযোগই পাওয়া যেতে না, সেখানে কীভাবে তিনি তাঁর লড়াকু মানসিকতার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছিলেন।
১৩ টেস্টে ৩২.০১ গড়ে ২৭৬৩ রান করেছেন তিনি। রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ও ১৭ হাফ সেঞ্চুরি।
ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালের ওই ইনিংস ছাড়াও ২০০২-এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাঁর শতরানের ইনিংস দলকে খাদের কিণারা থেকে তুলে এনেছিল। ১০০-রও কম রানে যখন দলের টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে ফিরেছিল, তখন ওই ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
আসলে ব্যাটিং টেকনিকের দিক থেকে তাঁর দুর্বলতা ছিল। ভালো মাণের পেসারদের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা ২০০৬-র দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় ধরা পড়ে।
তারপর থেকে আর ভারতীয় দলে খেলেননি তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরপ্রদেশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন।