নয়াদিল্লি: সাল ২০০২। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৫ রান ইংল্যান্ডের। জবাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাট হাতে প্রত্যাঘাত। তারপর মহম্মদ কাইফ-যুবরাজ সিংহের অবিস্মরণীয় লড়াই। বাকিটা ইতিহাস।

স্মরণীয় জয় পেয়েছিল সৌরভের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচের অন্যতম নায়ক মহম্মদ কাইফ জানালেন, দুই ইনিংসের বিরতিতে মুষড়ে পড়া ভারতীয় দলকে ড্রেসিংরুমে কীভাবে চাঙ্গা করেছিলেন অধিনায়ক সৌরভ। একটি সংবাদপত্রে নিজের কলামে কাইফ লিখেছেন, ‘১৮ বছর আগে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৩০০ বা তার বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করা মুখের কথা নয়। সেখানে লর্ডসের মতো মাঠে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩২৬ রানের লক্ষ্য কীভাবে পেরোনো সম্ভব, সেই চিন্তায় মুষড়ে পড়েছিলাম। ড্রেসিংরুমের এক কোণায় দাঁড়িয়েছিলেন কোচ জন রাইট। কিন্তু অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না। সব খেলোয়াড়কে এক জায়গায় ডেকে দাদা বলেছিল, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ইনিংসের শুরুটা ভালো হওয়া দরকার। ঠিক তেমনই হয়েছিল।’
ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন ওপেনার সৌরভ ও বীরেন্দ্র সহবাগ। দুজনের মধ্যে ১০৬ রানের পার্টনারশিপ হয়ছিল। ৪৩ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন সৌরভ। ৪৫ রান করেছিলেন সহবাগ। তবে তাঁরা আউট হওয়ার পর ব্যাটিং ধস নামে। ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ঠিক তখনই ক্রিজে নেমেছিলেন মহম্মদ কাইফ। যুবরাজের সঙ্গে ১২১ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। ৬৩ বলে ৬৯ রান করেছিলেন যুবি। ৭৫ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন কাইফ। তিনি লিখেছেন, ‘ওই ম্যাচের আগে পর্যন্ত বড় রান তাড়া করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছিলাম আমরা। সেদিন অবশ্য ছবিটা বদলে যায়।’