কলকাতা: এই ম্যাচে যে মোহনবাগানই (Mohun Bagan Supergiant) হট ফেভারিট ছিল তা সবাই জানত। আইএসএলের মত বড় মঞ্চে একেবারে আনকোরা দল পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। সম্বল বলতে শুধু গত মরসুমের আই লিগ জয়। তবুও অঘটনের আশায় ছিলেন স্তাইকোসের ছেলেরা। কিন্তু ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে জয় দিয়েই অভিযান শুরু করল হুয়ান ফেরান্দোর দল। একই সঙ্গে হোম ম্য়াচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলে নিল মোহনবাগান।


নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট দেরিতে এদিন খেলা শুরু হয়েছিল যুবভারতীতে। আগের ম্য়াচটি দেরিতে শেষ হওয়ায় এই ম্য়াচের কিক অফের সময় পিছিয়ে গিয়েছিল। এদিন বুমোস, মনবীকে ছাড়াই দল সাজিয়েছিলেন ফেরান্দো। কামিংসকে প্রথম থেকেই খেলান তিনি। যার ফলও চলে আসে হাতে নাতে। ডুরান্ড কাপে খেলার সময় অস্ট্রেলিয়ার এই স্ট্রাইকারের ফিটনেস একটা ইস্যু ছিলই। এদিন অবশ্য শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিলেন কামিংস। খেলার ১০ মিনিটের মাথায় গোলও পেয়ে যান তিনি। আইএসএলে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই গোল করেন অজি স্ট্রাইকার। এরপর আর থামতে হয়নি মোহনবাগানকে। খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় সবুজ মেরুন বাহিনী। দিমিত্রিওস পেত্রাতোসের পা থেকে আসে গোল। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়েন বাগান ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই অবশ্য় কিছুটা চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন পাঞ্জাবের ফুটবলাররা। লুকা মাচিনের গোলেই ব্যবধান কমায় পাঞ্জাব। খেলার ৫৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন স্লোভানিয়ার এই ফুটবলার। তবে এখানে মোহনবাগানের গ্লেন মার্টিন্সের ভুলের কথা বলতেই হয়। তাঁর একটি ভয়ঙ্কর ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে যান লুকা। সেখান থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি পাঞ্জাবের অধিনায়ক। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো ব্য়বধান বাড়ানোর লক্ষ্যে শুভাশিসকে বসিয়ে মনবীরকে নামান। কোচের আস্থার মর্যাদা রাখেন তরুণ স্ট্রাইকার। খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় পেত্রাতোসের পাস থেকে বল নিয়ে জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি মনবীর। এরপর আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি। 


আই লিগ জয়ের পর এবারই প্রথমবার আইএসএল খেলতে নেমেছিল পাঞ্জাব দল। প্রথম ম্যাচের পর অবশ্য় হতাশই হবেন পাঞ্জাব কোচ স্তাইকোস। তাঁদের পরের ম্য়াচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। অন্য়দিকে মোহনবাগান তাঁদের পরের ম্যাচ খেলতে নামবে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে আগামী ২৭ তারিখ।