কলকাতা: আসন্ন মরশুমে সবুজ-মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে না কার্ল ম্যাকহিউকে। শুক্রবার ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তিন বছর মেরিনার্স শিবিরে থাকার পরে তাঁকে অবশেষে ছেড়ে দেওয়া হল।


গত কয়েক মরশুমে মোহনবাগানের নির্ভরযোগ্য সদস্য হয়ে উঠেছিলেন ম্যাকহিউ। টানা দু’বার তিনি এটিকে মোহনবাগানকে হিরো আইএসএলের ফাইনালে উঠতে ও গতবার চ্যাম্পিয়ন হতেও সাহায্য করেন। গত মরশুমে ক্লাবের হয়ে ২১টি ম্যাচ খেলেন তিনি। দলের খেতাব জয়ে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও তিনটি গোল করেন তিনি এবং একটি গোলে অ্যাসিস্টও করেন।


২০১৯-২০ মরশুমে তিনি এটিকে এফসি-তে যোগ দেন। তার পর থেকে গত মরশুম পর্যন্ত কলকাতার ক্লাবেই ছিলেন। প্রথম বছরেই এটিকে এফসি-র খেতাব জয়ে তাঁর অবদান ছিল। পরের মরশুমে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেন ও সেবার তিনি হিরো আইএসএলে রানার্স আপ দলের সদস্য ছিলেন। সেবার দুটি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। সব মিলিয়ে হিরো আইএসএলে ৬৬টি ম্যাচ খেলেন ম্যাকহিউ এবং এই লিগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।


মিডফিল্ডার হলেও রক্ষণেও যথেষ্ট পারদর্শী কার্ল। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, ডিফেন্সিভ মিডিও বা লেফট ব্যাক হিসেবে তাঁকে হিরো আইএসএলে দেখা গিয়েছে। মাদারওয়েল, ব্র্যাডডফোর্ড সিটি, প্লাইমাউথ আর্গাইলের মতো স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ক্লাবে খেলার পরে ২০১৯-এ ভারতে আসেন কার্ল। আয়ারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৭, ১৯ ও ২১ দলের হয়ে খেলা কার্ল প্রথম বছরেই হিরো আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন এটিকে এফসি দলের সঙ্গে ছিলেন। সে বার চোটের জন্য ছ’টির বেশি ম্যাচ খেলতে না পারলেও একটি গোল করেছিলেন।


গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪০ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রবল সঙ্ঘর্ষের পরে মাঠে লুটিয়ে পড়েন কার্ল ম্যাকহিউ। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠিয়ে কার্লকে মাঠের বাইরে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার সময় সতীর্থদের সঙ্গে কথাও বলে যান কার্ল। এই দুর্ঘটনার ১৮ দিন পরে তিনি মাঠে ফিরে আসেন এবং ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন। ২০১৯ থেকে ভারতের এক নম্বর লিগে খেলছেন তিনি। এর আগে দলের আর এক নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ও গত মরশুমের অধিনায়ক প্রীতম কোটালকেও ছেড়ে দেয় মোহনবাগান এসজি। এ বার ছেড়ে দেওয়া হল ম্যাকহিউকেও।