াটকলকাতা: তিনি বিশ্বসেরা ফিনিশার। তিনি ২ বারের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে তিনি ক্যাপ্টেন কুল। অথচ এই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কেরিয়ারই একটা সময় মনে হচ্ছিল যে শুরুতেই শেষ হয়ে যেতে চলেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে খাতা খোলার আগেই রান আউট। এরপর টানা ফ্লপ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে তাঁকে রাখা নিয়েও সেই সময় দোটানায় পড়তে হয়েছিল নির্বাচকদের। কিন্ত তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আস্থা অর্জন করে নিয়েছিলেন। সুযোগও মিলেছিল। কিন্তু বারবার লোয়ার অর্ডারে ব্য়াট করতে নেমে অল্প রানে ফিরে যাওয়া। ক্যাপ্টেন সৌরভের আরও একটা মাস্টারস্ট্রোক। আর তাতেই বাজিমাত করলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনে সেই ম্যাচে টপ অর্ডারে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। কেরিয়ার বাঁচানোর ম্যাচে কেরিয়ারের প্রথম শতরান। ওস্তাদের মার সিরিজে আজকের প্রতিবেদন ধোনির প্রথম ওয়ান ডে শতরানের ইনিংসটি নিয়েই --


টপ অর্ডারে নেমেই কেল্লাফতে


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে ব্যাটে রান এসেছিল যথাক্রমে ০, ১২, অপরাজিত ৭। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোচিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। বিশাখাপত্তমে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালিন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সচিন তেন্ডুলকর ২ রানের মাথায় ফিরে যান। এরপরই মাঠে আসেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সেই সময় রাহুল দ্রাবিড় বা সৌরভের নিজের আসার কথা। কিন্তু তরুণ ধোনিকে সেদিন ওপরে ব্যাট করতে নামার সুযোগ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সৌরভ। ব্যাস, অধিনায়কের ভরসা রাখতে কোনও ভুল করেননি মাহি। ১৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১২৩ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ভারতও তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে বোর্ডে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান তুলে নেয়। 


রান তাড়া করতে নেমে ২৯৮ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪ উইকেট নেন আশিস নেহরা। ৩ উইকেট নেন যুবরাজ সিংহ। ম্যাচে ৫৮ রানে জিতে সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সৌরভের দল। উল্লেখ্য, সেই শতরানের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ধোনিকে। সেই বছরই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।