রাঁচি: দুই ভাইয়ের মধ্যে খুব একটা সুসম্পর্ক বলে শোনা যায় না। বরং তিক্ততা রয়েছে বলেই খবর। সম্পর্কের শীতলতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, নিজের বায়োপিকে দাদার অস্তিত্ব পর্যন্ত শিকার করেননি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni)।


তবে দাদা নরেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে কি মাহির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে?


একটি ছবি থেকে যে জল্পনা জোরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধোনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌভাগ্য বিসওয়াল একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে ধোনিকে দেখা যাচ্ছে তাঁর দাদা নরেন্দ্রর সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন সীমান্ত লোহানি। যাঁকে চিট্টু নামেই চেনে ধোনির ঘনিষ্ঠমহল। এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরিতে যাঁর চরিত্র বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।


সৌভাগ্য ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, 'বাহ কী দারুণ একটা সেলফি। বছরের সেরা সেলফি। বস মাহি ভাই, নরেন্দ্র ভাই ও চিট্টু ভাইয়ের সঙ্গে তোলা...'। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেলফিটি তুলেছেন ধোনি স্বয়ং। তাঁর পরনে মেরুন রংয়ের টি শার্ট। দাদা নরেন্দ্র পরে রয়েছেন স্ট্রাইপড হাফশার্ট। ধোনিকে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছে।


শোনা যায়, দাদা নরেন্দ্রর সঙ্গে কার্যত মুখ দেখাদেখি ছিল না ধোনির। সিনেমার গল্প মনে করুন, সেখানে দেখানো হয়েছে ধোনিরা দুই ভাই-বোন। দিদির সঙ্গেই ধোনির স্কুল জীবন, খুনসুটি, বেড়ে ওঠা দেখানো হয়েছে। বড় অবস্থাতে ধোনির ভূমিকায় সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তাঁর দিদির ভূমিকায় ভূমিকা চাওলা।


অনেকে জানেনও না যে, ধোনির এক দাদাও রয়েছেন। জাঠতুতো বা খুড়তুতো নন, মামা বা মাসীর ছেলেও নন। ধোনির নিজের দাদা। নরেন্দ্র সিংহ ধোনি। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, ধোনি নিজমুখে কখনও দাদার কথা বলেননি। তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি সিনেমায় দাদার উল্লেখ পর্যন্ত নেই! কিন্তু কেন?


অনেকে বলেন, নরেন্দ্র কার্যত ত্যাজ্যপুত্র। পরিবারের কারও সঙ্গেই সেভাবে যোগাযোগ নেই। কেউ কেউ এও বলেন যে, আর্থিক প্রতারণা করেছিলেন নরেন্দ্র। এবং সেটাও খোদ ধোনির সঙ্গে। যে কারণে তাঁর সঙ্গে কেনওরকম যোগাযোগই রাখেন না ধোনি। 


ধোনির চেয়ে ১০ বছরের বড় নরেন্দ্র। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়। ২০১৩ সালে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। তার আগে বিজেপি করতেন। রাঁচিতেই থাকেন। ২০০৭ সালে তাঁর বিয়ে হয়। এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান আছে তাঁর। স্কুলে খেলাধুলোতেও বেশ নাম ছিল তাঁর। খেলেছেন জাতীয় স্তরেও।


সিনেমায় কেন তাঁকে দেখানো হয়নি? নরেন্দ্র নিজে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'শৈশবে হোক বা কিশোর বয়সে, বা তার পরে তরুণ বয়সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই চালানোর সময় বা বিখ্যাত হওয়ার পরেও, মাহির জীবনে আমার কোনও অবদান নেই, সেই কারণে হয়তো রাখা হয়নি। সিনেমাটা মাহিকে নিয়ে, ওর পরিবারকে নিয়ে নয়।'


নরেন্দ্র আরও বলেছিলেন, 'আমি ওর চেয়ে ১০ বছরের বড়। ও যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করে, আমি ততদিনে জেভিএম শ্যামলী স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছি এবং ১৯৯১ সাল থেকে আমি বাড়ির বাইরে। আলমোরার কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করতাম। সেখানে উচ্চশিক্ষার পর রাঁচিতে ফিরি। আমাকে সিনেমায় দেখানো কঠিন হতো।'


তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে ইঙ্গিত, আগের সেই তিক্ততা এখন হয়তো আর নেই। হয়তো দূরত্ব কমছে দুই ভাইয়ের।


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: উদ্যোগী স্নেহাশিস, অভিমান ঝেড়ে ফেলে সিএবি-র জীবনকৃতি সম্মান নিচ্ছেন রাজু


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial