নয়াদিল্লি: টেস্ট থেকে অবসর আগেই নিয়েছিলেন। এবার একদিনের ও টি-২০ দলের অধিনায়কত্বও ছাড়লেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফলে পাকাপাকিভাবে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন তিনি। ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় এবার বিরাট কোহলি নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটে ভারতের অধিনায়ক হতে চলেছেন।


২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ধোনি। তারপর থেকে তিনি শুধুই একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি-২০ খেলছেন। টেস্টে ভারতের অধিনায়ক হওয়ার পর একের পর এক সাফল্য পাচ্ছেন বিরাট। তাঁকে তিন ফর্ম্যাটেই অধিনায়ক করার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। স্বয়ং ধোনিই সরে দাঁড়িয়ে বিরাটের রাস্তা সাফ করে দিলেন। তবে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এখনই খেলা ছাড়ছেন না ভারতের সফলতম অধিনায়ক। তিনি দেশের হয়ে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাবেন বলেই জানা গিয়েছে।

২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়ার পর ২০০৭ সালে টি-২০ ফর্ম্যাটে ভারতের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ধোনি। প্রথম চ্যালেঞ্জেই সাফল্য। প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টেস্টেও ভারতের অধিনায়ক হন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি-র এই তিনটি প্রতিযোগিতাতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ধোনি। টেস্টেও ভারতীয় দল এক নম্বর হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। টেস্টে ৬০টি ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করে ২৭টি জিতেছেন ধোনি। ১৯৯টি একদিনের ম্যাচে জয় ১১০টিতে। ৭২টি টি-২০ ম্যাচে জয় ৪১টিতে। এহেন উজ্জ্বল রেকর্ডের অধিকারী ধোনিই এবার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন।

বিসিসিআই-এর চিফ এগজিকিউটিভ রাহুল জোহরি বলেছেন, 'ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা ভারতীয় ক্রিকেটে অক্ষয় হয়ে থাকবে। বিসিসিআই এবং ভারতের ক্রিকেটভক্তদের পক্ষ থেকে ধোনিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের একদিনের সিরিজ শুরু হচ্ছে এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে। তার আগেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়ে নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন ধোনি। ২০১৯ সালে পরবর্তী একদিনের বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় ধোনির খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। নতুন অধিনায়ককে দল গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিলেন ধোনি।