রাজি ছিলেন না ধোনি-গ্যারি, ২০০৮-এ বদ্রিনাথের জায়গায় কোহলিকে দলে ঢুকিয়ে শ্রীনির কোপে পড়ে মূল্য চোকাতে হয়েছিল তাঁকে, দাবি বেঙ্গসরকারের
এ ব্যাপারে শীঘ্রই শ্রীনিবাসন হস্তক্ষেপ করেন এবং বেঙ্গসরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বেঙ্গসরকার বলেছেন, ওই সময় শ্রীনি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বদ্রিনাথ তামিলনাড়ুর প্লেয়ার। তাই বদ্রিনাথ বাদ পড়ায় শ্রীনি হতাশ হয়েছিলেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবেঙ্গসরকার বলেছেন, দলে কোহলিকে অন্তর্ভূক্ত করার আদর্শ সময় এসেছে বলে মনে হয় তাঁর। নির্বাচক কমিটির বাকি চার সদস্যও তাঁর সঙ্গে সহমত হন। কিন্তু গ্যারি ও ধোনি ততটা আগ্রহী ছিলেন না। কারণ, তাঁরা কোহলিকে খুব একটা দেখেননি। বেঙ্গসরকার বলেন, 'ওদেরকে বোঝাই যে আমি ওকে দেখেছি এবং আমাদের ওকে দলে নিতে হবে। আমি জানতাম যে ওরা এস বদ্রিনাথকে দলে নিয়ে আগ্রহী ছিল। কারণ বদ্রিনাথ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের প্লেয়ার। কোহলি দলে নেওয়া হলে বদ্রিনাথ বাদ পড়ে যেতে পারত'।
বেঙ্গসরকার জানিয়েছেন, কোহলির ইনিংস দেখে তিনি মনে করেছিলেন যে, এই ছেলেটা ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে ঢোকার যোগ্য। কিন্তু তাঁর ওই প্রস্তাব অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গত মনে হয়নি।
ওই সময়কার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বেঙ্গসরকার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল। নির্বাচক কমিটি এই সফরে শুধুমাত্র অনূর্দ্ধ ২৩ খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই বছরে ভারত অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই দলের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় ওই সফরে দলে নেওয়া হয়েছিল। সফরের ম্যাচগুলি দেখতে ব্রিসবেনে গিয়েছিলেন বেঙ্গসরকার। নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোহলি ওপেন করেছিলেন। ক্যারিবিয়ান দলে কয়েকজন টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন। কোহলি ওই ম্যাচে অপরাজিত ১২৩ রান করেন। তখনই কোহলিকে ভারতের সিনিয়র দলে খেলানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বেঙ্গসরকারের মাথায় আসে। মুম্বইয়ে ক্রীড়া সাংবাদিকদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বেঙ্গসরকার।
ওই সময়কার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বেঙ্গসরকার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল। নির্বাচক কমিটি এই সফরে শুধুমাত্র অনূর্দ্ধ ২৩ খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই বছরে ভারত অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই দলের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় ওই সফরে দলে নেওয়া হয়েছিল। সফরের ম্যাচগুলি দেখতে ব্রিসবেনে গিয়েছিলেন বেঙ্গসরকার। নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোহলি ওপেন করেছিলেন। ক্যারিবিয়ান দলে কয়েকজন টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন। কোহলি ওই ম্যাচে অপরাজিত ১২৩ রান করেন। তখনই কোহলিকে ভারতের সিনিয়র দলে খেলানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বেঙ্গসরকারের মাথায় আসে। মুম্বইয়ে ক্রীড়া সাংবাদিকদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বেঙ্গসরকার।
ওই ঘটনার পর ২০০৮-র সেপ্টেম্বরে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যেতে হয় বেঙ্গসরকারকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। এমনটাই দাবি বেঙ্গসরকারের।
নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি ও তত্কালীন কোষাধ্যক্ষ এন শ্রীনিবাসন বদ্রিনাথের জায়গায় কোহলিকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি ছিলেন না।
২০০৮-এ তামিলনাড়ুর ব্যাটসম্যান এস বদ্রিনাথের জায়গায় ১৯ বছরের তরুণকে ভারতের সিনিয়র দলে নিয়েছিলেন ততকালীন প্রধান নির্বাচক দিলীপ বেঙ্গসরকার। এজন্য তাঁকে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে আচমকাই সরে যেতে হয়েছিল বলে জানালেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকার। বদ্রিনাথকে তত্কালীন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও কোচ গ্যারি কার্স্টেনও দলে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঙ্গসরকার।
বেঙ্গসরকার বলেছেন, 'বদ্রিনাথকে কেন বাদ দেওয়া হল, তা আমার কাছে জানতে চান শ্রীনি। আমি বুঝিয়ে বলি যে, অস্ট্রেলিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটারদের সফরে কোহলিকে দারুন খেলতে দেখেছি। ও খুবই ভালো ক্রিকেটার। এজন্যই ওকে দলে নেওয়া হয়েছে। তখন শ্রীনি যুক্তি দেন, বদ্রি তামিলনাড়ুর হয়ে ৮০০ রান করেছে। আমি তখন শ্রীনিতে বলি ও সুযোগ পাবে। তখন শ্রীনি প্রশ্ন করেন, কবে সুযোগ পাবে? ওর বয়স তো ২৯ হয়ে গিয়েছে। উত্তরে আমি বলি, ও সুযোগ পাবে। তবে কবে পাবে, তা বলতে পারব না। পরের দিনই শ্রীনি শ্রীকান্তকে শরদ পাওয়ারের কাছে নিয়ে যান। শরদ ওই সময় বোর্ড সভাপছি ছিলেন। আর এভাবেই নির্বাচক কমিটিতে আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়'।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -