কলকাতা: ঘরের মাঠে আরসিবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে মরশুমের দ্বিতীয় জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর্থিক জালিয়াতির জন্য গ্রেফতার হার্দিকদের দাদা। এক নজরে খেলার সারাদিনের সেরা খবরগুলি। 


মুম্বইয়ের জয়


রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে চলতি আইপিএল (IPL 2024) মরশুমের দ্বিতীয় জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৭ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই। সৌজন্যে সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav), ঈশান কিষাণ ও রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং। সূর্যকুমার ১৯ বলে ৫২ ও ঈশান কিষাণ ৩৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেললেন। প্রথম ইনিংসে ফাফ ডু প্লেসি, রজত পাতিদার ও দীনেশ কার্তিক আরসিবির হয়ে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে বোর্ডে ১৯৬/৮ তুলেছিলেন। তবে তা কাজে লাগল না। যশপ্রীত বুমরা এদিন বল হাতে পাঁচ উইকেট নিলেন।


বুমরার ইতিহাস


আরসিবির ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতেই বিরাট কোহলিকে পঞ্চমবার আউট করেন যশপ্রীত বুমরা। তারপর বুমরার বলে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটে বলে সঠিক সংযোগ ঘটাতে পারেননি আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। লং অন থেকে ছুটে এসে দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন টিম ডেভিড। ৬১ রানে শেষ হয় ডু প্লেসির ইনিংস। ঠিক পরের বলেই বুমরার ঠিকানা লেখা ইয়র্কারের সামনে পরাস্ত হন মাহিপাল লোমরোরও। ১৯তম ওভারে বলে এসে ফের জোড়া উইকেট নেন বুমরা। পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। তবে গত ওভারের মতো এবারেও তিনি হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। কিন্তু ইতিহাস গড়ে ফেলেন তিনি। প্রথম বোলার হিসাবে আরসিবির বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেন তিনি।


গ্রেফতার হার্দিকদের দাদা


রমরমিয়ে চলছে আইপিএলে ১৭তম সংস্করণ। একদিকে যেখানে হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেখানে দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্য (Krunal Pandya) লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে আইপিএলের মাঝেই দুই পাণ্ড্য ভাই বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেন। ক্রুণাল, হার্দিকের আরেক ভাই বৈভবের (Vaibhav Pandya) কর্মকাণ্ডেই দুই ভাইকে প্রায় ৪.৩ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের সম্মুখীন হতে হল।


এক রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্দিক ও ক্রুণালের সৎ ভাই বৈভব এক পার্টনারশিপ ফার্মে ৪.৩ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি করেছেন, যার জেরে দুই পাণ্ড্যকে ভাইকে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হল। রিপোর্ট অনুযায়ী তিন ভাই মিলে তিন বছর আগে একটি পলিমার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ওই ব্যবসায় দুই ক্রিকেটার ভাই ৪০ শতাংশ করে মূলধন বিনিয়োগ করেন। বৈভব বাকি ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছিলেন। বৈভবের কাঁধেই ব্যবসার প্রতিদিনের কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব ছিল। বিনিয়োগ অনুযায়ীই লভ্যাংশও বন্টন হবে বলে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বৈভব তাঁর দুই ভাইকে না জানিয়েই ওই অর্থেই আরেকটি ব্যবসা চালু করেন। ফলে প্রাথমিকভাবে যা চুক্তি হয়েছিল, তা ভঙ্গ তো হয়ই, পাশাপাশি তিন কোটি টাকার ক্ষতিও হয়।


বৈভব ভাইদের অজান্তেই নিজের শেয়ার ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশ করে নেন। ফলে তড়তড় করে হার্দিক ও ক্রুণালের লভ্যাংশের পরিমাণ কমে। এর জেরেই বৈভবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় এবং মুম্বই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেছে। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা বৈভব পাণ্ড্যর বিরুদ্ধে দুর্নীতি তথা আর্থিক জালিয়াতি, চুক্তি ভঙ্গের মতো বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: বদলে যেতে পারে আইপিএলের খোলনলচে, তবে স্থগিত হয়ে গেল দশ দলের বৈঠক