কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির সর্বকালের সফলতম দল মুম্বই। রঞ্জি জয়ের ক্ষেত্রে তাদের ধারেকাছে আর কোনও দল নেই। তবে লাল বলের ক্রিকেটে মুম্বইয়ের দাপট সত্ত্বেও, ২০ ওভারের ফর্ম্যাটে এতদিন পর্যন্ত তাদের খেতাবজয় অধরাই ছিল। তবে শনিবারই অবশেষে সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল। ইডেন গার্ডেন্সে হিমাচল প্রদেশকে তিন উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (Syed Mushtaq Ali Trophy) জিতল মুম্বই (HP vs MUM) দল। আর সেই সাফল্যের সাক্ষী থাকলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার কাফু।


কোটিয়ানের দাপট


এদিন ইডেনেই ইতিহাসে প্রথমবার মুস্তাক আলির ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ঋষি ধবনের নেতৃত্বাধীন হিমাচল প্রদেশ। তবে টসভাগ্য ধবনদের পক্ষে ছিল না। টসে জিতে হিমাচলকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। মুম্বই অধিনায়ক রাহানের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন তাঁর দলের বোলাররা। আগুনে বোলিংয়ের মাধ্যমে মাত্র ৯.৪ ওভারেই ৫৮ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে হিমাচল। মোহিত অবস্তি ও তনুশ কোটিয়ান বল হাতে আগুন ঝড়ান। তবে চাপের মুখে সপ্তম আকাশ বশিষ্ট ও একান্ত সেন ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। বশিষ্ট ২৫ রানের ইনিংস খেলেন, একান্ত হিমাচলের হয়ে সর্বাধিক ৩৭ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান করে হিমাচল।


 






সরফরাজের পরিপক্ক ইনিংস


অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের শুরুটাও খানিকটা নড়বড়েই হয়। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ (১১) ও রাহানে (১) ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তবে যশস্বী জয়সবাল ও শ্রেয়স আইয়ার মুম্বইয়ের হাল ধরেন। যশস্বী ৩৭ রান করেন, শ্রেয়স করেন ৩৪। এই দুই তারকার ৪১ রানের পার্টনারশিপ সত্ত্বেও ১১৯ রানে সাত উইকেট হারিয়ে একসময় ধুঁকছিল মুম্বই। কিন্তু চাপের মুখে এক পরিপক্ক ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন সরফরাজ খান। তিনি ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। অবশ্য ১৫ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট ও তার পাশাপাশি দুই ক্যাচ নেওয়ার জন্য কোটিয়ানকেই ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে ম্যাচ সেরার ট্রফি তুলে দেন।


আরও পড়ুন: ইডেনদর্শন কাফুর, দেখলেন শ্রেয়স-ধবনদের ফাইনাল ম্য়াচ