কলকাতা: গত বছরের সেপ্টেম্বরের এক রাত। বাংলার ক্রিকেট মহলে যন্ত্রণার রাত। কারণ, সেদিনই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার মুর্তজা লোধগার (Murtaza Lodhgar)। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর!


রবিবার, ১৩ মার্চ, প্রয়াত মুর্তজার স্মৃতিতে ময়দানের কালীঘাট মাঠে একটি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন তাঁর সতীর্থ ও বন্ধুরা। সেই ম্যাচ আয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সিএবি-ও। ম্যাচ আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা নেন মুর্তজার শৈশবের কোচ মহম্মদ ফয়জল সেলিম ও ইজহার। ছিলেন প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, নরেশ ওঝা, দেবব্রত দাস, দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সিএবি কর্তারা।


বাংলার অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনার মুর্তজা লক্ষ্মীরতন শুক্ল, মনোজ তিওয়ারি, অশোক দিন্দাদের সঙ্গে খেলেছেন। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিলেন মুর্তজা| খেলা ছাড়ার পর বাংলার মহিলা দলের কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। গত মরসুমে অনূর্দ্ধ ১৯ মিজোরাম দলের কোচ হয়েছিলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিশাখাপত্তনমে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মুর্তজা।


বিনু মাঁকর ট্রফি খেলার জন্য দল নিয়ে বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন বাংলার এই প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার। নৈশভোজের পর অভ্যাস বশত হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ময়দানের সবার প্রিয় 'মুত্তু ভাই'। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একদা লক্ষীরতন শুক্ল, মনোজ তিওয়ারিদের সতীর্থ। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


বাংলার হয়ে ৯টি রঞ্জি ম্যাচে ৩৪টি উইকেট নিয়েছিলেন মুর্তজা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া তাঁর অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে বলেছিলেন, "মুর্তজার এ ভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু বাস্তবকে মেনে নিতেই হবে। মুর্তজা বাংলা ক্রিকেটের সম্পদ ছিলেন।" মুর্তজাকে সম্মান জানানোর জন্য সিএবি-র পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল।


মুর্তজার স্মৃতিতে সোমবার ইডেন গার্ডেন্সে ১২জন অভাবী মহিলা ক্রিকেটারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্রিকেট সরঞ্জাম।