বিষয়টির সূত্রপাত ঘটে গত সোমবার। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে। ডু অর ডাই ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে দুরন্ত ব্যাটিং করে আসছিলেন প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশালের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাঁর ব্যাটে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তামিম ইকবাল ও তার দল। কিন্তু ১৭তম ওভারে শফিকুর ইসলামের বলে হুট করেই শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিলেন আফিফ। আর তা লুফে নিতে নিজের জায়গা থেকে দৌড়ে আসেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর। সতীর্থ নাসুম আহমেদও শর্ট স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে আসেন। মুশফিকুরের চেয়ে কিছু দূরত্বে থেকে বল গ্রিপ করতে হাতও উঁচিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে মুশফিকুর ক্যাচটি তালুবন্দি করেছেন। ভাগ্যক্রমে দুজনের ধাক্বায় বল হাত থেকে পড়ে যায়নি! সেকারণেই হয়তো ভীষণভাবে মেজাজ হারান মুশফিকুর রহিম, যদি ক্যাচ ড্রপ হতো! একটা সময়ে তো নাসুমকে প্রহার করতেও উদ্যত হন তিনি। তাঁর এমন আচরণে চকিতেই অপ্রস্তুত হয়ে নাসুম আহমেদ।
ফেসবুক পোস্টে মুশফিকুর লিখেছেন, 'গতকালের ঘটনায় প্রথমত আমি আমার ভক্ত ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। ইতিমধ্যেই আমি আমার সতীর্থ নাসুম আহমেদ এর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি উপরওয়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি সব সময় স্মরণ করি যে আমি একজন মানুষ এবং গতকাল যে আচরণ আমি দেখিয়েছি তা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আগামীতে কখনোই মাঠে ও মাঠের বাইরে এমন আচরণ করব না।' মুসফিকের এই পোস্টে নানা রকমের মন্তব্য করেছেন ভক্তরা। কেউ বলেছেন সংযত হতে, কেউ মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ আবার প্রকাশ্যে এ ভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মুসফিকুরেরর প্রশংসাও করেছেন।
এদিকে মাঠে অভব্য আচরণের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের নির্ধারিত আচরণবিধিভঙ্গের জন্য মুশফিকুরের ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করেছে। সেইসঙ্গে তাঁর শৃঙ্খলাজনিত রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে।