নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। এরপর থেকেই দেশজুড়ে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো মাতামাতি হচ্ছে। সোনাজয়ী নীরজ বলছেন যে তাঁর স্বপ্ন ছিল প্রয়াত মিলখা সিংহের ইচ্ছেপূরণ করা। আর তা তিনি করতে পেরেছেন। প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু একটি ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টের রিপ্লাইয়ে নীরজ লেখেন, 'ধন্যবাদ স্যার। আমারও স্বপ্ন ছিল যে মিলখা সিংহজির ইচ্ছে আমি পূরণ করি। শুধু এটাই আশা রাখব, যে উনি যেখানেই রয়েছেন, আমার পদক জয় দেখে খুশি হবেন।'
উল্লেখ্য, নীরজের সোনা জয়ের মুহূর্তের পর ট্যুইট করেছিলেন কিরেন রিজিজু। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, 'ইতিহাস তৈরি হল। মিলখা সিংহজির ইচ্ছেপূরণ হল। অলিম্পিক্সের মঞ্চে প্রথমবার অ্যাথলেটিক্সে পদক জয় ভারতের। সোনালি মুহূর্ত ভারতের জন্য। নীরজ চোপড়া দেশের জন্য সোনা জিতেছেন অ্যাথলেটিক্সে।'
১৩৫ কোটির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অলিম্পিক্সে। হরিয়ানার কোনও এক অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেটা টোকিওর ট্র্যাকার ফিল্ডে এমন ইতিহাস লিখবে তা কে জানত। টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন থ্রো-এ সোনা জিতে রূপকথার উত্থান হয়েছে ২৩ বছরের এক তরুণের। নাম নীরজ চোপড়া। স্বাধীনতার পর অ্য়াথলেটিক্সে ভারতের প্রথম পদক। টোকিওতে কাটল সোনার খরা। ২০০৮-এ বেজিংয়ে অলিম্পিক্সে অভিনব বিন্দ্রার সোনা জয়ের পর ২০২১ সাল নীরজের হাত ধরে ফের অলিম্পিক্সের মঞ্চে সোনা জয় ভারতের। ১৩ বছর পর। শুধুই সোনাই জিতলেন না। ট্র্যাকে রীতিমতো একাধিপত্ব বজায় রাখলেন পানিপথের তরুণ তুর্কি। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী। প্রথম চেষ্টাতেই ৮৭.০৩ মিটার ছুড়ে এক নম্বরে পৌঁছে যান তিনি। দ্বিতীয় চেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুড়ে আরও চওড়া হল তাঁর হাসিটা। ৮৭.৫৮ সংখ্য়াটাকে আর ছুতে পারলেন না বাকি প্রতিযোগীরা। খবর আসতেই বদলে গেল পানিপথের ছোট্ট গ্রামটার চেহারা।
এদিকে গত ৭ অগাস্ট অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের পর থেকেই দেশজুড়ে অভ্যর্থনা দেওয়া হচ্ছে নীরজকে। ওই বিশেষ দিনটিকে জ্যাভলিন থ্রো ডে হিসেবে পালন করা হবে।