লখনউ: কেরিয়ারে যত চড়াই দেখেছেন, ঠিক ততটা উতরাইও দেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ মহম্মদ শামি। হাঁটুর গুরুতর চোট হোক বা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ-- সবকিছুর ফলে পেশাদার থেকে ব্যক্তিগত --  শামির দুনিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, কোনও কিছুতে ভেঙে না পড়ে-- মাঠ ও মাঠের বাইরে দুরন্ত কামব্যাক করেছেন এই বোলার। বর্তমানে ক্রিকেটের তিন ফর্ম্য়াটেই জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন শামি। সম্প্রতি, অবসাদ ও করোনা-উত্তর ক্রিকেট নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।


প্রায় তিনমাস ব্যাপী লকডাউনের এই পর্বের গোটা সময়টা উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের কাছে সহসপুর গ্রামে কাটিয়েছেন বলে জানান শামি। বলেন, ওখানে একটা ছোট অ্যাকাডেমি গড়ে তুলেছি। সেখানেই অনুশীলন করি। আমার ছোট ভাইও ফাস্ট বোলার। অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলা দলের হয়ে খেলে। সেও আমার সঙ্গে অনুশীলন করে। টিম ফিজিওর নির্দেশনুসারে ফিটনেস অনুশীলন করেছি। আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখতে যা যা করার তাই করেছি। আমি ভাগ্যবান যে, নিজেকে ফিট রাখতে যে আমার নিজের একটা মাঠ রয়েছে।


অবসাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের কথা বলেন শামি। একইসঙ্গে তুলনা করেন তাঁর নিজের জীবনের অবসাদ। জানান, কীভাবে তা সামলেছিলেন। শামি বলেন, অবসাদ এমন একটি সমস্যা যাকে গুরুত্ব দিতেই হবে। সুশান্তের মতো দুরন্ত অভিনেতা আত্মঘাতী হলেন, এটা দেখে সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। ও আমার বন্ধু ছিল। যদি ওর মানসিক দিকটা বুঝতে পারতাম তাহলে অবশ্যই আমি ওর সঙ্গে একবার কথা বলতাম।


শামি স্মরণ করেন, কীভাবে, তাঁর পরিবার তাঁকে অবসাদের পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছে। বলেন, ওরা (পরিবার) আমাকে সাহায্য করেছিল। আমাকে বুঝিয়েছিল যে, আমাকে লড়াই করতে হবে। এক-এক সময় আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু, আমার পরিবার নিশ্চিত করেছিল যে, আমি কোনও সময় একা না হয়ে পড়ি। কেউ না কেউ সর্বদা পাশে থাকত, কথা বলত। নিকটজনদের সঙ্গে কথা বলা সবচেয়ে ভাল উপায়। এছাড়া, আধ্যাত্মিকভাবেও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলে।