ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিমের দুরন্ত বোলিং। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের টপ অর্ডারের চোয়ালচাপা লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র হল। এরফলে ভারত এ দল তিন ম্যাচ আনঅফিসিয়াল ‘টেস্ট’ সিরিজ ২-০ জিতে নিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৭৩। এই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাচের চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ। শেষপর্যন্ত দিনের শেষে তারা ৬ উইকেটে ৩১৪ রান করে।
ওপেনার জেরেমি সোলোজানো ২৫২ বলে মাটি কামড়ে থেকে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন। তিন নম্বরে নেমে ব্রেন্ডন কিং ৮৪ বলে ৭৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। সেইসঙ্গে সুনীল অ্যাম্বিসের ১৪২ বলে ৬৯ রানের সুবাদে ম্যাচ ড্র রাখতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ।
ভারতের হয়ে ভারত এ দলের হয়ে নাদিন ৪১ ওভার বল করে ১০৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করেন ঝাড়খণ্ডের এই অর্থোডক্স বাঁহাতি স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকভাবে নজরকাড়া পারফর্ম করলেন তিনি। চার ইনিংসে তিনবার পাঁচ উইকেট দখল করলেন তিনি। সিরিজে মোট ১৫ উইকেট পেলেন তিনি।
কোচ পরশ মাম্বব্রের দল সিরিজে আধিপত্য রেখেই খেলল। টেস্ট স্পেশ্যালিস্ট অধিনায়ক হনুমা বিহারি (২২২ রান, একটি সেঞ্চুরি, একটি হাফসেঞ্চুরি), ঋদ্ধিমান সাহা (১৩৭ রান, ২ অর্ধশতরান) এবং মায়াঙ্ক অগ্রবাল (১২৩ রান, ১ হাফসেঞ্চুরি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভালো পারফর্ম করেছেন।
উমেশ যাদবও এই ম্যাচে উভয় ইনিংসে ৩০ করে রান করেছেন এবং দুটি উইকেটও পেয়েছেন।
এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি চাপের মুখে শুভমন গিলের দ্বিশতরানের ইনিংস। এই ইনিংসের মাধ্যেমে পঞ্জাবের এই তরুণ ব্যাটসম্যান প্রমাণ দিয়েছেন যে, পরবর্তী পর্যায়ে খেলার জন্য তিনি প্রস্তুত।
মুম্বইয়ের শিবম দুবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স (১৮০ রান ও ৫ উইকেট) নজর কেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সিম বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে তামিলনাড়ুর বিজয় শঙ্করের চেয়ে বেশি কার্যকরী হতে পারেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- ভারত এ ২০১ এবং ৪ উইকেটে ৩৬৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ১৯৪ এবং ৬ উইকেটে ৩১৪।