নয়াদিল্লি: চিন্নাপ্পমপট্টি গ্রামের নাম শুনেছেন কোনওদিন? জানেন কি, কেন চেন্নাইয়ের সালেম জেলার এই গ্রাম সংবাদ শিরোনামে? উত্তর একটাই, থাঙ্গারাসু নটরাজন। তিনি এই গ্রামেরই ছেলে যে!
সদ্যসমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে ক্যাঙ্গারু বধ করা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের এই সদস্য সেখানে তিন ফর্ম্যাটেই আত্মপ্রকাশ করেছেন। ব্রিসবেনে গাব্বার সিরিজ নির্ধারণকারী চতুর্থ ও শেষ টেস্টে ভারতের জয়ে বড় অবদান ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার বিরাট আড়ম্বরের মাধ্যমে গ্রামে রথে চাপিয়ে ঘোরানো হল পেস বোলার নটরাজনকে। তুমুল উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনায় স্থানীয় লোকজন পিছন পিছন চলল রথের, পারকাসন যন্ত্র ছেন্দা বাজাতে বাজাতে। নটরাজন বীরের সংবর্ধনা পেলেন ঘরের লোকজনের কাছ থেকে। রথে চেপে নিজের বাড়ি ঢুকলেন তিনি।


নটরাজনের মহা সংবর্ধনার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। তরুণ পেসারকে ধুমধাম করে ঘরে বরণ করে নেওয়ার পিছনে গ্রামবাসীদের যে আবেগ, উদ্দীপনা রয়েছে, তাতে আপ্লুত দেশের প্রাক্তন জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিখেছেন, স্বাগত নহি করোগে? এই হল ভারত। এখানে ক্রিকেট শুধু খেলাই নয়, তার চেয়েও অনেক বড় কিছু। নটরাজন তাঁর সালেম জেলার চিন্নাপ্পমপট্টি গ্রামে ফিরতে কী বিপুল অভ্যর্থনা পেল! এ এক অবিশ্বাস্য কাহিনি।
বিরাট কোহলি বাবা হওয়ার সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য দেশে ফিরে আসায় টিমকে সাময়িক নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের হারানোর মূল নায়ক অজিঙ্কা রাহানেও দেশে ফিরে বিপুল সংবর্ধনা পেয়েছেন। মুম্বইয়ে তিনি যে আবাসনে থাকেন, তার সোসাইটির সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানাতে কার্পেট পেতে রেখেছিলেন। নিজের ছোট্ট মেয়ে আরিয়াকে কোলে করে সেই কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে ভিতরে ঢোকেন রাহানে। আবাসনের একটি পিলারে লাগানো হয় তাঁর প্রমাণ সাইজের পোস্টার। তার ওপর লেখা আমাদের বিশ্বস্ত পিলারকে অভিনন্দন! গোলাপের পাপড়ি, পুষ্পবৃষ্টি হয় রাহানের ওপর। ঢোল, কাঁসর, ট্রাম্পেট বেজে ওঠে মুর্হূমুর্হূ। স্লোগান ওঠে, আলা রে আলা আজিঙ্কা আলা। লাল কার্পেটে হাঁটেন রাহানের স্ত্রী রাধিকা ধোপাভকরও।
রাহানে ছাড়াও মুম্বই ফেরেন দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী, রোহিত শর্মা, শার্দুল ঠাকুর, পৃথ্বী শ-রা। ঋষভ পন্থ দিল্লি পৌঁছন আজ ভোরে।