সুরাট: মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধই। একে অপরের সঙ্গে ম্যাচ শেষে হাতও মেলালেন না। সুরাটে চলা ন্যাশনাল গেমসের সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন মনিকা বাত্রা। উল্টোদিকে ছিলেন বাংলার সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়। কয়েক মাস আগেই এই সুতীর্থা ও প্রাক্তন জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনেছিলেন মনিকা। এদিন সেই মনিকাকেই প্রায় হেলায় উড়িয়ে দিলেন সুতীর্থা। খেলার ফল বাংলার প্য়াডলারের পক্ষে ১১-৬, ১১-৮, ১০-১২, ১১-৮, ৭-১১, ১১-৬। ম্য়াচ শেষে ম্যাচ আম্পায়ারদের সঙ্গে হাত মেলালেও মনিকার দিকে হাত বাড়াতে দেখা যায়নি সুতীর্থাকে। বোঝাই যাচ্ছিল যে তিক্ততার রেষ এখনও রয়েছে। 


 



কী অভিযোগ এনেছিলেন মনিকা?


নিজের অ্যাকাডেমির ছাত্রী সুতীর্থা মুখোপাধ্য়ায়কে অলিম্পিক্সে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দোহার অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ারে একটি ম্যাচ ছাড়তে বলেন সৌম্যদীপ। জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন টিটি খেলোয়ার মানিকা বাত্রার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারত তথা বাংলার ক্রীড়া মহল। এভাবে কোনও খেলোয়াড়কে ম্যাচ ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া যায়? বিস্মিত-স্তম্ভিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রীড়া মহল। এই ইস্যুতে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছেন অনেকে। 


ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া শোকজের উত্তরে মনিকা বলেছিলেন, "দোহাতে টোকিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে সৌম্যদীপ রায় তাঁর ছাত্রী সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমাকে ম্যাচ ছাড়তে বলেছিলেন। হোটেলের ঘরে এসে প্রায় কুড়ি মিনিট কথা বলেছিলেন। তার প্রমাণও রয়েছে। যা কর্তৃপক্ষের সামনে পেশ করব। এই ঘটনা আদতে গড়াপেটার নামান্তর।" পরে সৌম্যদীপ রায়কে সাসপেন্ড করা হয়।


কমনওয়েলথ গেমস থেকে সোনা জিততে পারেননি মনিকা। অন্যদিকে সুতীর্থা আশাবাদী ছিলেন যে সুযোগ পেলে তিনি সোনা জিতেই ফিরবেন। তবে গত কয়েক মাসে সেই ছবিটা পুরো বদলে যায়। এদিন ম্যাচে নামার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাংলার এই প্য়াডলার। ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি তিনি।


আরও পড়ুন: বিদায় বেলায় চোখে জল রজারের, পাশে বসে কাঁদলেন রাফাও