নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনা জয়ের পর থেকেই নীরজ চোপড়াকে নিয়ে মেতে রয়েছে গোটা দেশ। এই মুহূর্তটা উপভোগ করলেও আবেগে বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ পানিপথের তরুণ। এবার তাঁর লক্ষ্য আগামী বছরে আয়োজিত হতে চলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেতাব জয়। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নীরজ বলেন, 'আমি এর মধ্যেই এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছি। এবার অলিম্পিক্সেও সোনা জিতলাম। এবার আমার লক্ষ্য আগামী বছর হতে চলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেতাব জয়।' অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তরফে এক সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল।


অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মঞ্চ থেকে ভারতকে সোনা এনে দেওয়ার পর আগামী টার্গেট প্রসঙ্গে নীরজের সংযোজন, 'বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ভীষণই বড় মাপের একটা প্রতিযোগিতা। কিছু সময় যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতার মান অলিম্পিক্সের থেকেও বেশি হয়। অলিম্পিক্সে সোনা পেয়েছি ভেবে বসে থাকলে তাই চলবে না। আরও ভালো করার ভাবনা রয়েছে। এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ এমনকি অলিম্পিক্সেও ফের সোনা জিততে চাই।' প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টোকিও অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ার পর সেই টুর্নামেন্টও পিছিয়ে যায়। এই টুর্নামেন্ট হবে এবার আগামী বছর ১৫ জুলাই থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত। 


এদিন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নীরজ। তাঁর মতে, ২০১৫ সালের কেরলে আয়োজিত ন্যাশনাল গেমসে পঞ্চম স্থানে থাকলেও তাঁকে ফেডারেশনের জাতীয় ক্যাম্পে যুক্ত করার জেরেই মোড় ঘুরে যায় তাঁর কেরিয়ারের। জাতীয় শিবিরে সুযোগ পাওয়ার আগে পঞ্চকুলার তাও দেবী লাল স্টেডিয়াম ও পানিপথের শিবাজি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতেন নীরজ। জাতীয় শিবিরে অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে নীরজ বলেছেন, 'জাতীয় শিবিরে উন্নত পরিকাঠামো অনুশীলনে অনেকটা সাহায্য করে। অনেক পুষ্টিকর ডায়েটও পেতাম। সঙ্গে দেশের সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের সঙ্গে একসঙ্গে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা, সবকিছুটাই দারুণভাবে সাহায্য করেছিল।'