মেলবোর্ন: ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেয়ে ‘বেশি দায়বদ্ধতা’ আর কেউ দেখায়নি। পূর্বসূরীর উদ্দেশ্যে এমন প্রশংসা করলেন বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
সিডনিতে প্রথম একদিনের ম্যাচে মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হতে হয়েছিল ধোনিকে। কিন্তু, অ্যাডিলেড ও মেলবোর্ন ম্যাচে সব সমালোচনার জবাব দেন তিনি। পরপর দুটি ম্যাচ-উইনিং পারফরম্যান্সের পর ধোনির হারিয়ে যাওয়া গরিমা ও সম্মান আবার যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত।
পরপর দুটি ম্যাচে ‘ফিনিশার’-এর পাশাপাশি ‘অ্যাঙ্কর’-এর ভূমিকায় দেখা গেল ধোনিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ধোনির তিন নম্বর অবতার। কেরিয়ারের প্রথমদিকে ছিলেন ‘ড্যাশার’, দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ফিনিশার’ এবং কেরিয়ারের সায়হ্নে ‘অ্যাঙ্কর’-এর ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
ধোনির এই পারফরম্যান্স যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে, তা স্বীকার করে নিয়ে কোহলি জানান, ওকে ওর মতো খেলতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রথমত, ধোনির জন্য দল খুব খুশি। ও যে রানের মধ্যে আছে, সেটা ভাল ব্যাপার। রান করলে ছন্দ আসে, আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এতদিন দূরে থাকার পর।
ধোনির সমালোচকদের এদিন একহাত নেন কোহলি। বলেন, বাইরে অনেক কিছু ঘটে। অনেকে অনেক কিছু বলে। কিন্তু, ব্যক্তি হিসেবে এটুকু বলতে পারি, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি ধোনির চেয়ে বড় সমর্পিত আর কেউ নয়। দেশের জন্য যে এত কিছু করেছে, তাকে অন্তত একটু ফাঁকা জায়গা দেওয়া প্রয়োজন।
বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ককে অত্যন্ত বুদ্ধিমান হিসেবে উল্লেখ করে  কোহলি বলেন, সকলের উচিত ধোনিকেই তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাস্তা করে দেওয়ার। ও কি করতে চায়, তা ও নিজেই ঠিক করুক। ধোনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। আমার বিশ্বাস, ও ঠিক জানে ওর কী করা উচিত।
ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীও। জানান, তিনি সচিন তেন্ডুলকরকেও রাগতে দেখেছেন, কিন্তু ধোনিকে কখনই দেখেননি। বলেন, ধোনি হল লেজেন্ড। দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। এত তীক্ষ্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। এক এক সময়ে সচিনকে রাগতে দেখেছি। কিন্তু, এই মানুষটিকে কখনই রাগতে দেখিনি।
শাস্ত্রী যোগ করেন, ধোনির মত ক্রিকেটারের কোনও বিকল্প হয় না। ওর ফাঁকা জায়গা পূরণ করা সম্ভব নয়। শাস্ত্রী বলেন, ধোনির মতো ক্রিকেটার ৩০ বা ৪০ বছরে একবার আসে। শূন্য হোক বা শতরান--ধোনির শরীরি ভাষা একইরকম থাকে। বেশি কথা বলে না। নিজের মধ্যে থাকে।