কলকাতা: গোটা দেশ স্বপ্ন দেখেছিল বিশ্বজয়ের। ফাইনালে প্রতিপক্ষ যারা, গ্রুপ পর্বে তাদের হারিয়েই তো টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু হয়েছিল!


কিন্তু রবিবার মেলবোর্নে স্বপ্নভঙ্গ ঘটেছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে উড়ে গিয়েছে ভারত। অজিদের ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ৯৯ রানে।

যে বিপর্যয় দেখে হতবাক ইউসুফ পাঠান। চাপের মুখে ব্যাটসম্যানদের একজনও পাল্টা লড়াই করল না দেখে হতাশও। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ মনে করা হত ইউসুফকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য। পরে আইপিএলেও চাপের মুখে খেলেছেন অনেক নাটকীয় ইনিংস। জিতিয়েছেন ম্যাচ। রবিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল শেষ হওয়ার পর বঢোদরা থেকে মোবাইল ফোনে সেই ইউসুফ বললেন, ‘অ্যালিসা হিলির ইনিংস গোটা দলের মনোবল নষ্ট করে দিয়েছিল। ফাইনালে প্রতিপক্ষের একজন ব্যাটসম্যানের ওরকম ব্যাটিংয়ের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। সেটাই হয়েছে।’

তবে ভারতীয় দলের কাউকে ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করতে না দেখে হতবাক ইউসুফ। বলছেন, ‘উইকেটে কোনও জুজু ছিল না। কেউ পাল্টা লড়াই করল না। উইকেটে পড়ে থেকে ম্যাচটা টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল না।’

বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার হরমনপ্রীত কউরদের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করছেন সুযোগ নষ্টকে। বলছেন, ‘ফাইনালে এত ক্যাচ ফেললে কোনও দল জিততে পারে!’ সম্বরণ যোগ করছেন, ‘দীপ্তি শর্মা প্রথম বলই ফুলটস করে বাউন্ডারি খেল। সেখান থেকেই দলের সকলের কাঁধ ঝুলে গেল। শরীরী ভাষাটাই পাল্টে গেল।’

সম্বরণ অবাক মহিলা দলের কোচ ডব্লিউ ভি রামনকে কোনও বিকল্প পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে না দেখে। বলছেন, ‘রামনের কাছে কোনও প্ল্যান বি দেখলাম না।’ সম্বরণ যোগ করছেন, ‘হরমনপ্রীত গোটা টুর্নামেন্টে ব্যর্থ। তার ওপর ফাইনালের আগে এক সপ্তাহ কোনও ম্যাচ খেলেনি ভারত। তাতে ছন্দ নষ্ট হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু ম্যাচের মধ্যেই ছিল।’