মেলবোর্ন: ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কের জেরে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ না পেলেও, সারা বিশ্বের টেনিসপ্রেমীরা যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে খুশি বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জকোভিচ লিখেছেন, ‘সমর্থনের জন্য সারা বিশ্বের মানুষকে ধন্যবাদ। আপনাদের মনোভাব বুঝতে পারছি। আপনাদের সমর্থন আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’


অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যোগ দেওয়ার জন্য মেলবোর্নে পৌঁছলেও, তাঁর ভিসা বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এর আগে জানিয়েছিলেন, জকোভিচ যদি করোনার ভ্যাকসিন না নেওয়ার জন্য উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারেন, তাহলে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘জকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। সবাইকেই নিয়ম মানতে হবে। বিশেষ করে আমাদের সীমান্তের ক্ষেত্রে তো নিয়ম মানতেই হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমাদের দেশেই করোনায় সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের সীমান্ত বিষয়ক নীতির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি।’


বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন পৌঁছন জকোভিচ। ১৭ জানুয়ারি থেকে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হওয়ার কথা। এই প্রতিযোগিতায় জকোভিচ শেষপর্যন্ত যোগ দিতে পারবেন কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এই তারকা এখন মেলবোর্নের একটি হোটেলে আছেন। তাঁর আইনজীবীরা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র আদায় করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া সরকার জকোভিচকে মেলবোর্ন থেকেই তাঁর নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, আইজীবীদের তৎপরতায় সোমবার পর্যন্ত মেলবোর্নে থাকার ছাড়পত্র জোগাড় করেছেন এই টেনিস তারকা।


জকোভিচের পরিবারের লোকজন তাঁর হয়ে সরব হয়েছেন। তাঁরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার টেনিস সংস্থাও জকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত কী হবে, সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।


অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ইতিহাসে সফলতম পুরুষ খেলোয়াড় জকোভিচ। তিনি ৯বার এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। কিন্তু এবার তিনি যদি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ না পান, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে।